প্রকৃতিগত কারণে দেশ ও বিদেশে স্বাদ হিসেবে ইলিশের ডিমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে ইলিশ নগরী চাঁদপুরেও বর্তমানে ইলিশের চেয়ে ডিমের চাহিদা বেশি হওয়ায় সি’ফুডগুলো চড়াদামে ইলিশের ডিম ক্রয় করে মজুদ করছে। এতে করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
ইলিশ ধরার স্পটে ও আড়তগুলোতে গিয়ে দেখা যায় ইলিশের ডিম ১২শ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে আড়তদাররা ১৫শ টাকায় সি’ফুডে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে করে মাছের চেয়ে ডিমের দাম বেশি থাকায় বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশের দাম বেড়ে গেছে।
চাঁদপুর ম্যৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান কালু ভূইয়া বলেন, “ইলিশের ডিম বাজারজাত বন্ধ করতে হবে। আর এই ডিমওয়ালা মাছ বাজারজাত বন্ধ না হলে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম ব্যর্থ হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আড়ৎ গুলোতে যারা লবন দিয়ে মাছ কেটে সংরক্ষণ করে মূলত তাদের মাছগুলোতেই বেশি ডিম ওয়ালা মাছ পাওয়া যায়। এখানে আসা ইলিশ মাছগুলোর মধ্যে যেগুলো নরম হয়ে যায় সেগুলোকেই লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। তাই সারা বছর লোনা ইলিশ নামে বাজারজাত হয়ে থাকে।”
তিনি আরো বলেন, “চাঁদপুরে মা ইলিশকে রক্ষা করতে হলে ডিমের বাজারজাতসহ সঠিক সময়ে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে। অভিযান শেষ হলেও দেখা যায় বেশির ভাগ ইলিশের পেটে ডিম থেকে যায়। তাহলে এই অভিযানের কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।”
ইলিশ সংশ্লিষ্ট সচেতন আড়তদার, জেলে, ঘাটের লোকজন ইলিশ নিষিদ্ধের সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দাবি এ সময়সীমা ১৫ দিন থেকে কমপক্ষে ১ মাসে উর্ত্তীর্ণ করা প্রয়োজন।
চাঁদপুর টাইমিস নিউজ ডেস্ক: ।। আপডেট ১০:০৭ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫ শনিবার
ডিএইচ
শরীফুল ইসলাম
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur