Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে কোডেকসহ একাধিক এনজিও’র কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ গ্রাহক লাপাত্তা
ঋণ

হাজীগঞ্জে কোডেকসহ একাধিক এনজিও’র কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ গ্রাহক লাপাত্তা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক)সহ একাধিক এনজিও থেকে প্রায় কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ জনের একটি গ্রাহক টিম লাপাত্তা হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের পালিশারা জব্বার বেপারী বাড়ীতে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) এনজিও থেকে ঋণের জন্য ১০ জনের মহিলা সমিতির একটি টিম গঠন করা হয়। প্রথমে স্বল্প ঋণ নিয় বিশ্বাস জন্মানোর পর উক্ত এনজিওর  কাছ থেকে সভানেত্রী লিপি বেগমের নেতৃত্বে ২৩ লক্ষ টাকা উত্তলন করে দশ গ্রাহক কিস্তি না দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।

কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) হাজীগঞ্জ শাখার ঋণ খেলাপি এসব গ্রাহকরা হলেন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের পালিশারা বেপারী বাড়ীর প্রবাসী সোহাগের স্ত্রী রিমা আক্তারের কাছে দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, একই বাড়ীর আব্দুল হান্নানের স্ত্রী সানজানার কাছে ৩ লক্ষ টাকা, শাহাজাদা বেপারীর স্ত্রী হাছিনা বেগমের কাছ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা, আব্দুল মতিনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের কাছে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা, সোলেমানের স্ত্রী শাহিদা বেগমের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, প্রবাসী মানিকের স্ত্রী লিপি বেগমের কাছ থেকে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, মিজানুর রহমান এর স্ত্রী আছমা বেগমের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা,  মো. সেলিমের স্ত্রী সাজু বেগমের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা, জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রাশেদা বেগমের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা, আবুল খায়েরের স্ত্রী কাজল বেগমের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা ও আ. মজিদের স্ত্রী রেহানা বেগমের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা পায়। এভাবে শুধু কোডেক এনজিও থেকে ২৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এ দশ ঋণ গ্রহীতা।

কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) ছাড়াও এসব গ্রাহকরা পপি এনজিও, প্রিজম বাংলাদেশ, ব্যুরো বাংলাদেশ, স্বপ্নধারা, আশা এনজিও, সোপিরেট ও ব্র্যাকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।

কোডেক এনজিওর হাজীগঞ্জ শাখার দায়িত্বপাপ্ত ঋণ আদায়কারী কর্মকর্তা রেদওয়ান হোসেন বলেন, অনেকেই আমাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ী খেকে লাপাত্তা হয়ে গেছে। দুই একজনের বাড়িতে গেলে তারাও পালিয়ে থাকে, কেউ আবার মারধরের চেষ্টা করেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

কোডেক এনজিওর হাজীগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক মো. ওমর ফারুক বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসে ৭/৮ জন গ্রাহক নিয়ে সমিতির মাধ্যমে ছোট লোন নিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করে। তাদের সমিতির সভানেত্রী লিপি বেগম তার আত্নীয় স্বজন দিয়ে মূলত সমিতি গঠন করে। আমাদের ২৩ লক্ষ টাকার বাহিরেও জানতে পারি আরো অন্যান্য এনজিও থেকে সব মিলে তারা কোটি টাকার উপরে আত্মসাৎ করেছেন। এরই মধ্যে পপি এনজিও এক কর্মকর্তার চাকরি চলে যায়। আমাদের চাকরি নিয়েও টানাটানি। আমরা ঋণ খেলাপির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে তাদেরকে থানায় আসতে বলেছি। দেখি কি কারনে কেন টাকা দিচ্ছে না বিষয়টি আইনগত ভাবে খতিয়ে দেখবো।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,৯ মে ২০২৪