কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতা ওই স্কুলছাত্রীর মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে রোববার গভীর রাতে দেবিদ্বার থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় একই গ্রামের ইমনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) আনা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে নিয়ে দণ্ডবিধি ২২ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) পারভেজ আলম সরকার।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা-মা চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। তাই রাজামেহার গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে ওই ছাত্রী লেখাপড়া করতো। একই গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে ইমন (২৩) প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল। গত শনিবার গভীর রাতে ইমন তার কক্ষে প্রবেশ করে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে বখাটে ইমনকে আটক করে রাখলেও পরে ইমনের সহযোগীরা হুমকি দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন।
রোববার সকালে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে চট্টগ্রামে তার বাবা মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু মেয়ের মুখে ধর্ষণের বিবরণ শুনে চট্টগ্রাম থেকে থানায় এসে ওই ছাত্রীর মা রোববার গভীর রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশের (ওসি-তদন্ত) পারভেজ আলম সরকার জানান, ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য ভিকটিমকে সোমবার কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০২:৫৫ পিএম,১২ অক্টোবর ২০১৫, মঙ্গলবার
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫