Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জ প্রধান শিক্ষক রতনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ
প্রধান শিক্ষক

হাজীগঞ্জ প্রধান শিক্ষক রতনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ, অভিভাবক মহলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের দাওয়াত কার্ড নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ জন্ম নেয়। কার্ডে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র রায়ের আমন্ত্রণে লেখা সন্মানিত সুধী, আদব/ নমস্কার। উক্ত দাওয়াত কার্ডে কোথায়ও লেখা নেই বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বা আসসালামু আলাইকুম। বাকি সব পদ পদবি লেখা ঠিক থাকলেও শুরুতে মুসলিমদের যে দাওয়াতের নিয়মনীতি তা ঠিক না রেখে আদম/ নমস্কার লেখা দেখে সবাই হতবাক। তার পরেও এমন দাওয়াত কার্ড পেয়ে যথাসময় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অতিথিসহ অভিভাবক সদস্য অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। সেখানে অনেকেই এই কার্ডের দাওয়াত নিয়ে প্রশ্ন করলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র রায় বলেন, আমি আমার ধর্মের দিক বিবেচনা করে নমস্কার/ আদব লিখেছি তবে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লিখতে পারিনি তা একটু ভুল হয়েছে। এ কথা শোনার পর থেকে যথারিতি অনেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তির দাবি করেন। এর পর পরই দাওয়াত কার্ডের নমস্কার /আদব লেখাকে মার্ক করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়।

শুক্রবার জুমার নামাজের এক ঘন্টা আগে পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র রায় তার ফেইসবুকে উক্ত কার্ডে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বা আসসালামু আলাইকুমের স্থলে ভুল বসত নমস্কার /আদব লেখা হয়েছে দাবি করে সবাইকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান জানান।

এদিকে পালিশারা বাজারের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান, কাজী সবুজ, খাজে আহমেদ বলেন, এই লোক মুসলিম নিয়ম নীতি মানেন না। তার সময়ে ঠিকমত ছাত্ররা নামাজে আসতে পারে না। দাওয়াত কার্ডে সে ইচ্ছে করেই সালাম না লিখে সরাসরি নমস্কার আদব লিখে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, দাওয়াত কার্ডের এমন প্রশ্নবিদ্ধ ভুল দেখে মূলত আমি বিদায় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করিনি। প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র রায়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে ভুল হয়েছে বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র রায় বলেন, আমি আমার ধর্মের দিক থেকে কাউকে সালামের স্থানে আদব/নমস্কার জানাই সেই দিক থেকে মনে হয়না ভুল করেছি। তবে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখাটা মিস্ট্রেক হয়েছে। এ জন্য আমি সবাইকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান জানাই।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৯ ফেব্রুয়াুর ২০২৪