গত সাত সপ্তাহের যুদ্ধে হাজারো মানুষ প্রাণ হারানোর পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে। হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি ও ভিনদেশি নাগরিকদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের আক্রমণের মধ্য দিয়ে যে সংঘাতের শুরু হয়, তা থেকে নিরীহ মানুষকে বাঁচাতে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে কার্যকর হয় এই যুদ্ধবিরতি। এ সময় নিশ্চুপ থাকবে দুপক্ষের বন্দুক, আর বন্ধ থাকবে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণ। খবর এএফপির।
আজ বিকেলে হামাসের হাতে আটক ১৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের কারাগার থেকেও ছেড়ে দেওয়া হবে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে।
যুদ্ধবিরতির এই চারদিনে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা প্রায় ১৯০ জন ইসরায়েলি নাগরিকের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে মুক্ত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল থেকে মুক্ত হবেন ১৫০ জন ফিলিস্তিনি।
এদিকে এই যুদ্ধবিরতি গাজার ২০ লাখেরও বেশি অধিবাসীর জন্য এক ধরনের স্বস্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলা থেকে অল্প সময়ের জন্য হলেও রক্ষা পাবেন বলে আশা করছেন তারা। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারের তথ্য অনুসারে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে, প্রকৃত নিহত সংখ্যা কারো পক্ষেই সঠিকভাবে তুলে ধরা এই মুহূর্তে প্রায় অসম্ভব, যা আরও বেশি হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির এই ঘটনা বেশ দেরিতেই শুরু হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
টাইমস ডেস্ক/২৪ নভেম্বর ২০২৩