ঢাকার হাসপাতালগুলোতে কমতে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগী। গত এক মাসে মৃত্যুর হারও নিম্নমুখী। তবে ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে রোগীর সংখ্যা এখনো বেশি। জটিল পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় আসছে তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগী কমলেও পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরো অপেক্ষা করতে হবে। অক্টোবর শেষে ডেঙ্গুর প্রকোপ বা সংক্রমণ কমতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গেল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় গড়ে চিকিৎসাধীন রোগী ছিল চার হাজার ৫০০ জন। বর্তমানে ভর্তি রোগী দু’হাজার ৭৫২ জন।
গত এক মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গড়ে রোগী ভর্তি ছিল ৩৬৪ জন।
বর্তমানে ভর্তির রোগীর সংখ্যা ৩৫০। ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে বর্তমানে রোগী ভর্তি ১৮৩ জন, সেপ্টেম্বরে গড়ে ভর্তি ছিল ২৭৫ জন। আর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি ২০৯ জন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে রোগী ভর্তি ছিল ৩০০ জনের বেশি।
এদিকে, ঢাকার বাইরে সেপ্টেম্বরে চিকিৎসাধীন রোগী ছিল পাঁচ হাজার ৫০০ জন। বর্তমানে ভর্তি আছে ছয় হাজার ১৬৯ জন। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ভর্তি আছে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; আটজনই ঢাকার বাইরের, একজন ঢাকার। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয় এক হাজার ২৯৬ জন। ঢাকায় ৫০ জন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন সারা বছরই ডেঙ্গুর ঝুঁকি থাকবে। তবে বৃষ্টি না হলে বা শীতকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম থাকবে। বর্ষাকালে সেটি বেশি হবে।
৭ অক্টোবর ২০২৩
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur