চাঁদপুরেরকচুয়ায় তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ও অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দিনে-রাতে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে থাকছে না বিদ্যুৎ। প্রতিদিন ৮ হতে ১০ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে। তুলনামূলক কচুয়া পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ কিছুটা থাকলেও গ্রামে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে একবার বিদ্যুৎ গেলে আসার আর খবর থাকে না। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কচুয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির আওতায় হাজার হাজার গ্রাহকরা।
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা লোডশেডিংয়ের কথা শিকার করে জানান, কচুয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ও এর আওতাধীন সাচার ও রহিমানাগর জোনাল অফিসে মোট ১ লক্ষ ৩৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। কয়েকটি ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। কচুয়া, রহিমানগর ও সাচার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে বিদ্যুতের সন্ধাকালীণ ৩৩ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে আমরা ১২-১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি এবং দিনে ২৫ মেগাওয়াটের পরিবর্তে পাচ্ছি ৮-৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ। পালাখাল ও রহিমানগর প্রতি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ৯ মেগাওয়াট করে পাওয়ার কথা থাকলেও পাচ্ছি ৩-৪ মেগাওয়াট।
ফলে বার বার লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। গত প্রায় ১৫-২০ দিন ধরে পুরো কচুয়া উপজেলা জুড়ে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় ঘন্টায় ২/৩ বারেরও বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। অনেকেই ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিদ্যুতের দুর্ভোগ লাঘবে কতর্ৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন। তীব্র এ গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
একই সঙ্গে শিশু-বৃদ্ধসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা বলেন, গ্রাম এলকায় একবার চলে গেলে আর আসার খবর থাকে না। এক-দেড় ঘন্টা পর এলেও আধা ঘন্টা থাকে না, আবার চলে যায়। তারা আরও বলেন, ফলে বিদ্যুৎ না থাকায় এবং অসহনীয় গরমে মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছে না।
কচুয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে জ্বালানী তেলের সংকট ও দাম বৃদ্ধির কারনে এবং গরমে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আশা করছি জাতীয় ভাবে তা সমাধান হলে সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur