ফরিদগঞ্জ বাজারে প্রবেশের পথে লিংক সড়ক পার হতেই তুলাতলি নামক নামকরণ যেই জন্য হয়েছে সেই শত বর্ষির তুলা গাছ কেটে নিল ফরিদগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ। গাছ কর্তনকে ঘিরে জনমনে নানান প্রশ্ন।
২৯ জুলাই শনিবার বিকেল ফরিদগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ দাড়িয়ে থেকে এই শতবর্ষী তুলা গাছ কর্তন করতে দেখা যায়। বাজারে আসা-যাওয়ার পথে পথচারীরা নানা রকম আলোচনা করতে শুনা যায় গাছ কাটা নিয়ে।
পৌর সভার ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন দাঁড়িয়ে থেকে এই ঐতিহ্যবাহী তুলা গাছটি কাটতে দেখা যায়।
কি কারণে এই ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক তুলা গাছটি কর্তন করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাস্তা প্রসস্থ ও ড্রেনেজ নির্মাণ করতেই গাছটি কর্তন করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ উপজেলা বনবিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গাছটি কর্তন করেছে।
স্থানীয়রা জানান, এই গাছটিকে কেন্দ্র করেই তুলা তলি জামে মসজিদ এর নাম করন করা হয়েছে। গাছটি কর্তন করা খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে তুলা তলি জামে মসজিদ সাধারণ সম্পাদক ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান জানান, আমাদেরকে অবগত না করেই এই ঐতিহ্যবাহী অনেক স্মৃতি বিজড়িত গাছটি কর্তন করা খুবই দুঃখজনক।
গাছ কাটার বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা কাউছার আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তুলা গাছ কাটার বিষয় অবগত নই। পৌর সভাকে কোন অনুমতি দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পৌর সভাকে গাছ কর্তন করার কোন ধরনের অনুমতি দেইনি।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৯ জুলাই ২০২৩