চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বরাদ্দের তালিকা কাটছাট করে গোপনেই কোরবানির গরু বিক্রি করেছেন তার আপন ভাতিজা ও সাবেক সাংসদ মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। এমন অভিযোগ উঠেছে খোদ এরশাদের পল্লী নিবাস থেকে।
সূত্র জানায়, বরাবরের মতো এবারো জাপা চেয়ারম্যান রংপুরে বিভিন্ন সংগঠনে কোরবানির জন্য গরু বরাদ্দ দিয়েছেন। সেই তালিকায় থাকা রিপোর্টার্স ক্লাবের বরাদ্দের গরু বিক্রি করেছেন তারই আপন ফুফাতো ভাই মুকুল ও ভাতিজা আসিফ। গরু বিক্রির এ ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছেন জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা।
এ ব্যাপারে জাপা চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ফুফাতো ভাই মুকুল গরু বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘স্যার গরু বরাদ্দের তালিকা আসিফকে দিয়েছেন। আসিফই ভালো বলতে পারবে গরু কোথায়। গরু বিক্রির বিষয়টির আমি কিছুই জানি না’।
এ ব্যাপারে এরশাদের ভাতিজা সাবেক সাংসদ মকবুল শাহরিয়ার আসিফ বলেন, ‘সবই মিথ্যে। আমি স্যারের দেয়া তালিকা কাটছাট করিনি। আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে’।
এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মহানগর জাপার সদস্য সচিব এসএম ইয়াসির বলেন, ‘আমি আসিফকে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করেছি সে এব্যাপারে কোনো কিছুই বলেনি। বিষয়টি আমি এবং মহানগরের আহ্বায়ক মোস্তফা ভাইসহ সিনিয়র নেতারা স্যারকে জানিয়েছি’।
এ ব্যাপারে রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘২০১২ সালে রাজধানীর বারিধার প্রেসিডেন্ট পার্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এরশাদের পুত্রখ্যাত সাংবাদিক কাজী লুৎফুল কবীরের মাধ্যমে রিপোর্টার্স ক্লাব, রংপুরের জন্য কোরবানির গরু বরাদ্দ দেয়া হয়। গত তিনবছর থেকে কোরবানির জন্য জাপা চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপস্থিতিতে রিপোর্টার্স ক্লাবের সামনে সেই গরুর কোরবানি হতো। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও গরু বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু এরশাদেও সামনে রিপোর্টার্স ক্লাববে বিষয়টি অবহিত না করেই তালিকা থেকে রিপোর্টার্স ক্লাবের নাম কেটে দেয় তার ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার। বিষয়টি আমরা আসিফসহ জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতাদের অবহিত করেছি।’
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫