১৯৯৩ সালের পাঁচ এপ্রিল, আজও এই দিনটির কথা মনে হলে আতঁকে উঠেন অনেক দিব্যা ভক্ত। শোকের এ রাতে পাঁচতলা এপার্টমেন্ট থেকে পড়ে মারা যান অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী।
অনেকে বলেছেন এটা আত্মহত্যা, আবার অনেকে বলেছেন খুন। নান জল্পনা-কল্পনা শেষে রহস্যের কোন কুল কিনারা না পেয়ে ১৯৯৮ সালে এই হত্যামামলার ফাইল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সম্প্রতি উন্মোচিত হয়েছে এর রহস্য বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইবলিউড।
মনে করা হয় দিব্যার খুনের জন্য দায়ি তার স্বামী সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। অনেকে আবার বলেন, মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্যতা থাকার কারণে আত্মহত্যা করেছেন নায়িকা।
যেদিন রাতে মারা যান সেদিন একজন মধ্যস্থ কারবারির (দালাল) সঙ্গে বান্দ্রায় নেপচুন এপার্টমেন্ট ঘুরে দেখেন দিব্যা। পছন্দসই এপার্টমেন্ট খুঁজে পেয়ে তা নিয়ে ভাই কুনালের সঙ্গে আলোচনাও করেন।
পরে সন্ধ্যায় তিনি একটা ফোন পান। সেখানে বলা হয়, ভারসভার বাসায় ডিজাইনার নীতা লুল্লা এবং তার স্বামী সুনীল তার সঙ্গে দেখা করবেন। রাত দশটায় নীতা লুল্লা এবং সুনীল তার বাসায় আসেন এবং তারা অ্যালকোহল নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন।
অবশেষে দিব্যার মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত
দিব্যার গৃহকর্মী অমৃতা শোবার ঘরে ছিল। দিব্যা তাকে সেখান থেকে রান্নাঘরের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। দিব্যার শোবার ঘরে কোন ব্যালকনি ছিল না বরং বড় একটি জানালা ছিল। বাড়ির সব জানালায় গ্রিল থাকলেও ওই জানালায় কোনো গ্রিল ছিল না। জানালা বরাবর একটি গাড়ি পার্ক করা থাকে সবসময়। কিন্তু সেদিন কোন গাড়িও পার্ক করা ছিল না।
সবার চোখের আড়ালে জানালার নিচে সানসেটে গিয়ে দাঁড়ান দিব্যা। তবে সেটি এতোই সংকীর্ণ ছিল যে জানালার ফ্রেম না ধরে সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। মাতাল অবস্থায় ভালমতো দাঁড়াতে না পেরে পা পিছলে পার্কিংয়ে পড়ে যান। শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে দিব্যার দেহ। মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে নেয়ার সময় জীবিত থাকলেও জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর আগেই মারা যান তিনি।
দিব্যার বন্ধুরা জানায়, তিনি সবসময় স্টান্ট করতে পছন্দ করতেন এবং অনেকবার ছবির শুটিংয়ের সময় তিনি নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছেন।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার,
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur