ফ্যাটি লিভার একটি নীরব ঘাতক। এর একটা বড় অংশ ন্যাশ ও এর জটিলতা যেমন: লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারের সম্মুখীন হওয়া। বর্তমানে দেশের ২৯ ভাগ মানুষ ফ্যাটি লিভার সমস্যায় ভুগছেন। রোগটি সম্পর্কে এখনই জনসচেতনতা তৈরি না হলে ভবিষ্যতে এটি মোকাবিলা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব ন্যাশ দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন।
সেমিনারের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটি’। ন্যাশ হচ্ছে নন অ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিসের সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি যকৃৎ বা লিভারের একটি প্রদাহ। ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে ন্যাশের সম্পর্ক রয়েছে। ফ্যাটি লিভারের একপর্যায়ে শুরু হওয়া লিভারের প্রদাহকে ন্যাশ বলা হয়।
এ সময় বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরের স্থূলতা, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত পরিমাণে ফার্স্ট ফুড ও চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ। শিশুদের খেলাধুলার সুযোগের অভাবেও ন্যাশ হয়। এসব কারণ এখনোই চিহ্নিত করে সচেতন না হলে সামনে ব্যাপক জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে।
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। এ ছাড়াও সভায় সারা দেশের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ। সভায় চার গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এবারের বিশ্ব ন্যাশ ডে-এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্টেপ আপ ফর ন্যাশ’ অর্থাৎ এখনই ন্যাশ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে ও ন্যাশ প্রতিরোধ করতে হবে।
১০ জুন ২০২৩
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur