ভ্যাপসা গরমে চাঁদপুরে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা। গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে রসালো ফলের পাশাপাশি রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিক্রি হওয়া এই কচি তালের শাঁসের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকে। কচি তালের শাঁস ও পাকা তাল বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেই জনপ্রিয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে দ্রুত শরীরে পানিশূন্যতা দূর হয়।
বর্তমান সময়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলি-গলি, পাড়া-মহল্লাতে এই মৌসুমী ফল তালের শাঁস (লেপা) বিক্রি বেড়ে গেছে। অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ত তাল ফল পাইকারী কিনে এনে কেটে কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রয় করে থাকেন।
চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে তালের শাঁস বিক্রির জন্য প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বসছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ১৯ মে শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের ১০ নং চৌধুরী ঘাট এলাকায় কয়েকটি ফলের আড়ৎতে জেলার বিভিন্নস্থান থেকে সরবরাহকৃত তালের শাঁস পাইকারি ধরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেখান থেকে খুচরা এবং ভাম্যমান ফুটপাত ব্যবসায়ীরা পাইকারি ধরে কচি তাল ক্রয় করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
চৌধুরী ঘাট এলকার মেসার্স গাজী এন্টার প্রাইজের আড়ৎদার শাহাজাহান গাজী জানান, এখন গরম সৃজন, তাই এই সৃজনে রসালো ও পানীয় ফল বেশি চলে। আমরা চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম অঞ্চল থেকে গাছ হিসেবে কচি তাল ক্রয় করে থাকি। এরপর আমরা তা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি ধরে বিক্রি করে থাকি। তিনি জানান, এক আটি (পীড়) তালের দাম ১০০ থেকে দেড়শ এবং সর্বনিন্ম ৬০ টাকা ধরে বিক্রি করেন।
শহরের বেশ কয়েকটিস্থানে দেখা গেছে মৌসুমি এ ফল কেউ কিনে দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন, কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। এসব দোকানে ছোট বড় সব শ্রেণি পেশার মানুষ তালের শাঁস কিনতে ভিড় করছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে একেকটি কচি তাল ২৫ টাকা থেকে শুরু করে ৩০/৪০ টাকা দামে বিক্রি করছেন।
গ্রীষ্মের এই দিনে তাপদাহ গরমে চাঁদপুর জেলায় তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। তাই সবার হাতে পোঁছে যায় কঁচি তালের শাঁস। তবে এই তালের শাঁস বিক্রি করার কারনে বিলুপ্তির পদে পাকা তাল।
চিকিৎসকদের মতে গরমে তালের শাঁস খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। সেই সঙ্গে বাড়বে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শুধু গ্রীষ্মকালেই বাজারে কচি তাল দেখতে পাওয়া যায়। এর নরম কচি শাঁস খেতে ছোট বড় সবারই পছন্দ।
তালের শাঁসকে নারিকেলের মতই পুষ্টিকর বলে বিবেচনা করা হয়। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। এতে প্রচুর পরিমাণ পানিও থাকে। যা অনেকটা ডাবের পানির মতো। এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান থাকে। তাই আমাদের সকলকে এই তালের চারা রোপণের উৎসাহিত করতে হবে। পরিবেশ বান্ধব এই গাছটি পরিবেশের জন্য অতি প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি,২০ মে ২০২৩