কচুয়া করেসপন্ডেন্ট || আপডেট: ১০:২৫ অপরাহ্ন, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, রোববার
কচুয়া উপজেলার সাচার, পালাখাল ও রহিমানগর দক্ষিণ বাজার টিএন্ডটি রোড আবু বকর মিয়াজীর ৩য় তলায় অবস্থিত গ্রামীণ কো-অপারেটিভ (এমএস) ৩টি শাখা দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, কোনোপ্রকার ঘোষণা ছাড়াই ৩টি শাখার ব্যবস্থাপক অফিসে তালা ঝুলিয়ে উধাও হয়ে গেছে। ফলে গ্রামীণ কো-অপারেটিভ লিমিটেডের শাখার গ্রাহকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৮-১০ দিন থেকে ৩টি শাখার ব্যবস্থাপক ও অন্য কর্মকর্তারা অফিসে তালাবদ্ধ রেখে উধাও হয়ে গেছে। গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ফোন নাম্বার খোলা পেলেও বার বার কল করার পরও রিসিভ করছে না। কেউ কেউ রিসিভ করলেও গ্রাহকদেরকে জানায়, কোম্পানির হেড অফিসে টাকা না থাকায় লেনদেনে অসুবিধা হওয়ায় ঈদের বন্ধ হয়ে গেছে। ঈদের পর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে অফিস খুলবে বলেও তাদেরকে জানায়।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানায়, অনেকের আমানতের লভ্যাংশ এবং জমা টাকা উত্তোলন করে ঈদের কেনাকাটা করবে। কিন্তু আকম্মিকভাবে অফিস বন্ধ রাখায় তাদের ঈদের আনন্দতো দূরের কথা আমানতের টাকা ফেরত পাবে কিনা এ নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছে তারা।
পালাখাল শাখার গ্রাহক ও পালাখাল বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ আবুল হোসেন জানান, গত ২/৩ মাস পূর্বে একবার পালাখাল গ্রামীণ কো-অপরেটিভ লিমিটেড শাখা বন্ধ হয়ে যায়। পরে গ্রামীণ কো-অপারেটিভ লিমিটেড-এর পরিচালক মোঃ ওয়ালী উল্যাহ মোল্লা এসে গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়ে পুনরায় এ শাখাটি চালু করে। কিন্তু হঠাৎ হরে গত ৬/৭ দিন পূর্বে আবারো শাখা বন্ধ হয়ে যায়। এমনিভাবে সাচার, রহিমানগর শাখাগুলোও গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে শাখাগুলো চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে মারাত্মক দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে গ্রামীণ কো-অপারেটিভ লিমিটেডের কচুয়া এরিয়া ম্যানেজার মো. আব্দুস ছালামের বক্তব্য জানতে তঁাঁর ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি। এছাড়া গ্রামীণ কো-অপারেটিভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ওয়ালী উল¬াহ মোল্লা সৌদি আরবে হজ্ব পালনের জন্যে গমন করায় তাঁরও বক্তব্য জানা যায়নি।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur