হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা দুটো চাঁদপুর জেলার অন্যতম কৃষি উৎপাদনমুখী অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। বর্তমান সরকারের কৃষি বিভাগ হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার সাড়ে ১৩ হাজার কৃষককে কৃষি পুনর্বাসনে ৯২ লাখ ৩৪ হাজার ৮শ টাকার বীজ,সার, সমলয়ে ও পরিবহণ খরচ মেটাতে এ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। যোগাযোগ ও কৃষিপণ্য বিপনেন বা বাজারজাতকরণে, বিক্রি ও কৃষককূলের চাষাবাদের আগ্রহ প্রবল। তাই কৃষি উৎপাদনে এ দু’ উপজেলা জেলার অন্যান্য উপজেলা পিছিয়ে নেই।
ফলে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর কৃষি পুনর্বাসনে সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামার বাড়ি, চাঁদপুর সূত্রে ২৩ মাচর্ উল্লেখিত তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, হাজীগঞ্জে গম, ভূট্টা,সরিষা, সূর্যমুখি, চিনাবাদাম, সয়াবিন,পেঁয়াজ,মুগ,মশুরী ও খেসারী চাষাবাদে ১ হাজার ২শ ৫০ জন চাষীকে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৬শ ২৫ টাকা এবং শাহরাস্তিতে ৫শ ৮০ জন চাষী বা কৃষককে ৪ লাখ ২৩ হাজার ২শ ২৮ টাকা সরকারি নিদের্শিত উপজেলা কৃষি কমিটির মাধ্যমে পূর্বের তালিকা অনুযায়ী প্রদান করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জে বোরো ধান হাইব্রিড জাতের বীজ বিনা মূল্যে বিতরণ কর্মসূচির আওতায় চাষাবাদে বীজ ও সার ক্রয়ে ২ হাজার ৮শ জন চাষীকে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং শাহরাস্তিতে ২ হাজার ৮শ জন চাষীকে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা সরকারি নিদের্শিত উপজেলা কৃষি কমিটির মাধ্যমে পূর্বের তালিকা অনুযায়ী কৃষককে প্রদান করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জে বোরো ধানের উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও সার কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ কর্মসূচির আওতায় চাষাবাদে বীজ ও সার ক্রয়ে এবং পরিবহণ খরচ মেটাতে ১ হাজার ৭ শ জন চাষীকে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৭শ ৫০ টাকা এবং শাহরাস্তিতে ১ হাজার ২শ জন চাষীকে ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা সরকারি নিদের্শিত উপজেলা কৃষি কমিটির মাধ্যমে পূর্বের তালিকা অনুযায়ী কৃষককে প্রদান করা হয়েছে। শাহরাস্তিতে (হাজীগঞ্জ ব্যতীত) আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও সার কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ কর্মসূচি আউশ উপশী প্রণোদনার আওতায় চাষাবাদে বীজ ও সার ক্রয়ে এবং পরিবহণ খরচ মেটাতে ২শ ৮০ জন চাষীকে ৬৫ হাজার ৭শ টাকা এবং শাহরাস্তিতে ৫০ জন কৃষকের মধ্যে ১০ হাজার ১শ ২৫ টাকা সরকারি নিদের্শিত উপজেলা কৃষি কমিটির মাধ্যমে পূর্বের তালিকা অনুযায়ী কৃষককে প্রদান করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জে পাটের আবাদ বৃদ্ধির জন্যে পাট বীজ কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ কর্মসূচির আওতায় চাষাবাদে বীজ এবং পরিবহণ খরচ মেটাতে ১ হাজার ৭ শ জন চাষীকে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৭শ ৫০ টাকা এবং শাহরাস্তিতে ১ হাজার ২শ জন চাষীকে ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা সরকারি নিদের্শিত উপজেলা কৃষি কমিটির মাধ্যমে পূর্বের তালিকা অনুযায়ী কৃষককে প্রদান করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে সুত্রটি জানিয়েছে ।
এদিকে কৃষি বিভাগ জেলা বীজ সরবরাহ কেন্দ্রের মাঝে বিনামূল্যে বা প্রণোদনা হিসেবে বিতরণের জন্যে ৫ মে.টন পাটবীজ ও সরাসরি কৃষকদের বিতরণের জন্যে ২৩ মে.টন পাটবীজ, বিধান ৪৮ ও ৯৮ ও বিনা-১৯ জাতের ধান বীজ বিক্রির জন্যে ৪৫ মে.টন ও প্রণোদনা হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে ৯৭ মে.টন। শাহরাস্তিতে বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫০ একর জমিতে সরকারিভাবে চাষাবাদের জন্যে ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৫শ টাকা প্রদান করা হয়েছে ।
চাঁদপুর বীজ বিপনন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুল বাশার বলেন, ‘জেলার ১৩৪ জন ডিলারের মাধ্যমে এসব বীজ বিক্রির মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। প্রণোদনার বীজ ও টাকা স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহবায়ক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সদস্য-সচিব কর্র্তৃক অনুমোদিত কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করার সরকারি আদেশ রয়েছে।”
হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন,‘ পাটের প্রণোদনা প্রদান বিষয়টি বিতরণের প্রক্রিয়াধীন এবং বাকি প্রণোদনা কৃষকদের মধ্যে যথাসময়ে বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে।’
আবদুল গনি
১ এপ্রিল ২০২৩