চাঁদপুরের কচুয়ায় হঠাৎ করে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের দেখা গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার কৃষকরা। শুধু ব্লাস্ট রোগ নয়,ইদুরের উপদ্রব ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বোরো ধান। এতে করে কৃষকরা কীটনাশক দিয়ে সুরাহা পাচ্ছে না। রোরো ধানে হঠাৎ এমন রোগ দেখা দেওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। এতে ফলন্ত ধানের শীষগুলো দিনে পর দিন শুকিয়ে চিটে হয়ে গেছে ক্ষেতের ধান। উপজেলা এবার ধানের বাম্পার ফলনের আশা করেছিল চাষিরা। কিন্তু বোরা ধান নতুন করে গজাতে শুরু হলে ব্লাস্ট রোগের কারনে ধান চিটে হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কচুয়া উপজেলায় ১২ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। কিন্তু ব্লাস্ট রোগে ধানে আক্রমনের কারণে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারনা করছে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ।
দোয়াটি গ্রামের কাউছার হোসেন বোরো চাষ করেছেন ৭৮ শতাংশ জমিতে। জমি চাষ, বীজ, সার, সেচ, কীটনাশক ও শ্রমিকদের মজুরি বাবদ খরচ করেছেন বিঘা প্রতি পাঁচ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে অনেক টাকা খরচ হলেও ধানে ব্লাস্ট রোগ ও ইদুরের উপদ্রবের কারনে ধান নষ্ট হচ্ছে। ভালো ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি। তার মতো একই গ্রামের কৃষক আমান উল্যাহ ও জেসমিন আক্তার প্রায় বোরো ধানের আবাদ করেছেন ১০৬ শতাংশ জমিতে। ধানে বিভিন্ন রোগ,ইদুরের উপদ্রব ও ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে সব ধান চিঠা হয়ে যাচ্ছে। ধান গাছের মাঝ খানে কালো দাগের আকার ধারন করেছে। এতে করে ভালো ফলন নিয়ে আশঙ্কা করছি।
পালাখাল গ্রামের বোরো ধান চাষী কামাল হোসেন,দেলোয়ার হোসেন ও মাজেদা বেগম বলেন, প্রতি বছর আমরা প্রচুর পরিমানে বোরো ধানের আবাদ করে থাকি। চলতি মৌসুমে ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়ায় আতংকে আছি। কীটনাশক স্প্রে করছি কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো.সোফায়েল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত রোগ। ধানে দানা বাঁধা শুরু হলে ছত্রাক জনিত এই ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। কৃষকদের ছত্রাকনাশক স্প্রে, জমিতে পানি ধরে রাখা ও কখনো জমিতে ইউরিয়া ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সচেতনতামূলক কৃষকদের মাঝে লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকরা অনুসরণ করেলে উৎপাদনে খুব একটা বেশি অসুবিধা হবে না বলে আশাবাদ করেন তিনি।’
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৩১ মার্চ ২০২৩