কুরবানি আল্লাহর প্রেমের নির্দশন। যুগে যুগে আল্লাহ প্রত্যেক আম্বিয়া কেরামগণের ওপরেই এই দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন। যার ধারাবাহিকতা এখনও প্রবাহমান। আল্লাহ সামর্থ্যবান মুসলমান আকিল, বালিগ, মুকিম পুরুষ ও নারীর ওপর কুরবানি করাকে ওয়াজিব করেছেন। যাদের ওপর কুরবানি ওয়াজিব তা তুলে ধরা হলো-
যারা কুরবানি করবেন-
১. কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য নেসাব পরিমাণ মাল পূর্ণ এক বছর থাকা জরুরি নয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ১০ জিলহজ ফজর হতে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকবে, তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব।
২. পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য যে পরিমাণ জমি বা ফসলের দরকার তা থেকে অতিরিক্ত জমি বা ফসলের মূল্য অথবা যে কোনো একটির মূল্য যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মূল্যের সমান হয়। তাহলেও কুরবানি ওয়াজিব।
৩. পরিবারের সব সদস্যের যদি আলাদা-আলাদাভাবে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তবে সবার ওপর আলাদাভাবেই কুরবানি ওয়াজিব।
৪. গরিব ব্যক্তি যদি কুরবানির নিয়্যাতে গরুক ক্রয় করে তবে তার ওপরও কুরবানি ওয়াজিব।
৫. উদ্দেশ্য হাসিলে কুরবানির মান্নত করলে সে উদ্দেশ্য পূর্ণ হলেও কুরবানি করা ওয়াজিব।
৬. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যত সম্পদের অধিকারী হোক না কেন তার ওপর একটি কুরবানিই ওয়াজিব। সম্পদ বেশি বলে একাধিক কুরবানি করতে হবে এমন কোনো বিধান নেই। অবশ্য একাধিক কুরবানি করলে অনেক ছাওয়াব লাভ হয়।
এক কথায় যে অবস্থায়, যার ওপর সাদাকায়ে ফিতর ওয়াজিব, সে অবস্থায় ঐ ব্যক্তির ওপর কুরবানিও ওয়াজিব।
অতএব প্রত্যেক স্বাধীন, ধনী, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক নর-নারীর উপর কুরবানি ওয়াজিব।
পরিশেষে…
প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তিকে কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। আমিন।
চাঁদপুর টাইমস-এর সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
|| আপডেট: ০৬:০২ অপরাহ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫