ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ডা. সরকার মাহমুদ আহমেদ শামীম চাঁদপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে জেলা বিএনপির পথযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে তিনি শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এসময় তিনি বলেন, আমি বিগত ৩৫ বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) মূলধারায় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বিএনপির পেশাজীবী রাজনীতিক সংগঠনগুলোর সাথে কাজ করছি। চাঁদপুর আমার জন্মভূমি হলেও আমি পেশাগত কারনে ঢাকায় রাজনীতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলাম। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে আমার নিজের জন্মভূমির রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হচ্ছি। আমার উদ্দেশ্য এবং লক্ষ হলো মতলবের রাজনীতিকে একটি সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাওয়া। কারণ বৃহত্তর মতলব এখনো বিএনপির ঘাটি।
চাঁদপুরের এই কৃতি সন্তান আরো বলেন, আমি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছি। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতার চিকিৎসক হয়েছে কাজ করেছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বিএনপির মনোনয়ন পাই বা না পাই, তা নিয়ে আমার কোন চিন্তা নাই। আমার একটাই লক্ষ্য, দলের জন্য কাজ করা। বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণ-মানুষের অধিকার আদায়ে আমি রাজপথে থাকতে চাই।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে বড় দলগুলোতে গ্রুপি থাকেবেই। গ্রুপিংকে ইতিবাচক হিসেবে দেখতে পারেন, কারন এতে প্রতিযোগিতা থাকে। মতলবে বিএনপির জনপ্রিয় নেতা নুরুল হুদা সাহেব আমার বাবার বন্ধুর ছিলেন। তার ছেলে তানভীর হুদার সাথে আমার বড়ভাই-ভোটভাই সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতে অবদান রাখা ড. জালাল সাহেবের সাথেও আমার সুসম্পর্ক আছে। আমি কোন গ্রুপিং বুঝি না। আমি বলের স্বার্থ বুঝি। আমি বুঝি রাজনীতিটা করতে হবে, দেশের মানুষের অধিকার আদায় করতে হবে। আমি দলের জন্য কাজ করতে চাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্রে উত্তরে ডা. সরকার মাহমুদ আহমেদ শামীম আরো বলেন, রাজনীক জীবনে আমি তিনবার জেল খেটেছি। আজকে জেলা বিএনপির পদযাত্রায় মতলব থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে এসেছি। মিছিল নিয়ে চাঁদপুরের আসার পথে পেছন থেকে আমাদের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। কিন্তু আমি মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছি। এ হামলার ঘটনায় আমাদের ৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা কোন কিছুতেই ভয় পাই না। আমরা দলীয় কর্মসূচ পালনে এক বিন্ধুও পিছ পা হবো না। আমি দলের নেতাকর্মীদের পাশে সব সময় আছি এবং থাকবো।
দৈনিক প্রভাতী কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল আউয়াল রুবেলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কথা বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিএম হান্নান, সাবেক সভাপতি এবং দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক ইকবাল হোসেন পাটোারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি এবয় দৈনিক সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কেএম মাসুদ, এখন টিভির জেলে প্রতিনিধি তালহা জুবায়ের, দৈনিক চাঁদপুর সময়ের বার্তা সম্পাদক আশিক বিন রহিম, দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহের সহ-সম্পাদক শাওন পাটোয়ারী, দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মুহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।
এসয় চাঁদপুরে কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাসহ মতলব পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শোয়েব আহমেদ, সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার ও মতলব উত্তর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. মেজবা উদ্দিন, জেলা যুবদলের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, ছেঙ্গাচর পৌর স্বেচ্ছাসেসবক দলের আহবায়ক মো. আশেফ মাহমুদ সংগ্রাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur