আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. বশির আহমেদ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিগত বছরের তথ্য দেখে আমি লক্ষ্য করলাম, করোনাকালীন সময়ে আমাদের টার্গেট মতো এধরণের ক্যাম্পেইন সফল হয়েছে। এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আমাদের সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে এবং এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আমাদেরকে বেশি করে প্রচার প্রচারণা করতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও শিক্ষকরা অভিভাবকদের এ বিষয়ে মেসেজ দিতে পারেন। একই সাথে পত্রিকায় লেখা আকারে বিজ্ঞাপন এবং মসজিদ ভিত্তিক ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট এর মাধ্যমে ভিটামিনের এ বিষয়ে প্রচার প্রচারণা করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে অতীতে যেভাবে আমরা একসাথে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে এসেছি। এবারও যেন ঠিক সেই আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে পারি সেদিকে সকলে খেয়াল রাখবেন। মানব সেবার মনোভাব আমাদের সবার মধ্যে থাকতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন এবারও সফল ভাবে বাস্তবায়িত হবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্যাহ, জেলা তথ্য অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন, পরিবার কল্পনার উপ-পরিচালক ডা. মো. ইলিয়াস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন, চাঁদপুর জেলা বিএমএ এর সভাপতি ডা. সৈয়দ মো. নূরুল হুদা, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন, জেলা সমাজসেবা সহকারী পরিচালক ফিরোজ আহমেদ খানসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জেন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় মোট ৩ লাখ ৬ হাজার ৮শ’ ৮৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী মোট ৩ লাখ ৬ হাজার ৬শ’ ৫৮ জন শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী মোট ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯শ’ ৮৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলার মোট ২২৩৫টি কেন্দ্রে ক্যাম্পেইন সঠিক তদারকির জন্য ৫০৫ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চালাবে।
আরো জানা যায়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে, শিশুর শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে, ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। আগামী ১১ থেকে ৪ দিন ব্যাপী সারাদেশে জাতীয় ভিটমিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপিত হবে। ওইদিন ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১০০০০০ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২০০০০০ আইইউ) খাওয়ানো হবে।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩