চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলোচিত সোহেল হত্যা মামলার তিন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। পহেলা ফেব্রুয়ারী বুধবার রাতে মাদক ও নারী নিয়ে বিরোধের জের দরে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মো. সোহেল বেপারী (৩২) কে নৃশংস ভাবে হতে করে ৪ বন্ধু। পরে রাতেই তারা সোহেলের লাশ সকদি রামপুর বড় পাটওয়ারী বাড়ি পিছনে গড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
১ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে সোহেল বেপারীর কোন খোঁজ পাওয়ায় তার স্ত্রী জোস্না বেগম ৫ ফেব্রুয়ারী সকালে চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করে। (ডায়েরী নং-২৮৫/২৩)। সে আলোকে চাঁদপুর মডেল থানার এ. এস. আই শহীদ উল্লা অনুসন্ধানে নামে এবং সোহেলের পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে ফরিদগঞ্জের চান্দ্রা বাজার এলাকা থেকে শাহাদাত হোসেনকে আটক করে। শাহাদাত হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাবাদে সোহেল বেপারী হত্যার কথা স্বীকার করে।
পরে সকদিরামপুর এলাকার বড় পাটওয়ারী বাড়ির পিছনের গড় থেকে মাটি চাপা অবস্থায় সোহেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য রোববার সন্ধ্যায় চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করে।
আরও পড়ুন… ফরিদগঞ্জে মাদক কারবারিকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা
আজ সোমবার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলায় নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটককৃত আসামী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকান্ডে জড়িত মাইনুদ্দিনকে সকদি রামপুর এলাকা থেকে ও জাকির হোসেনকে একই ইউনিয়নের খাঁড়খাদিয়া এলাকা থেকে ৫ ফেব্রুয়ারী রাতেই আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত সোহেল বেপারীর বাবা মফিজুল হক বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১২ তারিখ-০৬-০২-২০২৩।
আটকৃতরা হলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সকদি রামপুর এলাকার গাজী বাড়ির শাহাজাহান গাজীর ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন গাজী প্রঃ রুবেল প্রঃ রাসেল(২৮), একই এলাকার মৃত নাজির হোসেন ছেলে মোঃ জাকির হোসেন(৪১) এবং একই ইউনিয়নের খাড় খাদিয়া এলাকার বেপারী বাড়ির মৃত আমির হোসেনের ছেলে মোঃ মাইন উদ্দিন বেপারী(৩০)। আটককৃদের বিরুদ্ধে পূর্বের একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মান্নান জানান, হত্যা মামলায় তিন জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur