শরীরে রোদ লাগিয়ে জড়তা কাটানোর চেষ্টা করছিলেন সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় দেখা যায় এ চিত্র। আজ সূর্য উঠলেও বাতাসে ঠান্ডার পরিমাণ ছিল অত্যধিক। সকালের চেয়ে বিকালে কমেছে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৫ ও বিকালে সেটি নেমে আসে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বিকালে সচিবালয়ে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে ওসমানী উদ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়,কুয়াশায় ঢাকা। কয়েকটি চিল উড়ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অফিস দেখা যাচ্ছে না ঠিক মতো। ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ।
আজ পৌষের ২৮ তারিখ। মাঘ আসবে রবিবার থেকে। ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’ প্রবাদটি প্রমাণের সময় ফের আসছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের ভাষ্যমতে, মাঘের প্রথম অথবা দ্বিতীয় দিনে রংপুর রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
গতকাল বুধবার রংপুর, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিল। একদিন পর এতে যুক্ত হয়েছে খুলনা বিভাগও। খুলনায় ১০ দশমিক ৫, সাতক্ষীরায় ১০ দশমিক ২, যশোরে ৮, কুমারখালীতে ৯, মোংলায় ১১ ও চুয়াডাঙ্গায় ছিল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর বিভাগে আজ তাপমাত্রা আরও কমেছে। রংপুরে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৬, দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪ ও সৈয়দপুরে ৯ দশমিক ৮, ডিমলায় ৯ দশমিক ৫ ও রাজারহাটে ৮ দশমিক ৫ এবং পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একমাত্র চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া বাকি ৭টি বিভাগেই মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হানা দিয়েছে। ঢাকা বিভাগের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গোপালগঞ্জে ৮ দশমিক ৫, ঢাকায় ১২, বাকিজেলাগুলোতে ৮-৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি। বরিশালে ৮ দশমিক ৪, ভোলাতে ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো.শাহিনুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশ বলেন, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ধরা হয় ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো.মনোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টিই পারে কুয়াশার হাত থেকে রক্ষা করতে। আগামী দু’তিনদিন কুয়াশা এমনই থাকবে, তবে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। বৃষ্টির জন্য প্রার্থনাই এখন আসল। কেননা বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে রোদ উঠবে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৩
এজি