চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
কোচিং এর নামে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে প্রেম নিবেদন ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে স্কুলের লাইব্রেরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ছাত্রীর পিতা।
বুধবার রাতে খুলনা থানায় স্কুলের লাইব্রেরিয়ান উত্তম কুমার বিশ্বাস ওরফে আবুল কালাম আজাদের নামে এই মামলা হয়। তিনি নগরীর বসুপাড়াস্থ সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলের লাইব্রেরিয়ান।
অভিভাবকদের দাবির মুখে বুধবারই বিকেলে স্কুল পরিচালনা পর্ষদ একই অভিযোগে লম্পট শিক্ষককে বরখাস্ত করে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে না তার নোটিশ প্রদান করেছে। ঘটনার পর থেকেই শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
এই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্রী ময়নাসহ অনেকেই স্কুলের লাইব্রেরিয়ান উত্তম কুমার বিশ্বাস ওরফে আবুল কালম আজাদের নিরালাস্থ কোচিং সেন্টারে কোচিং করত। গত ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে শিক্ষক তার এই ছাত্রীকে মোবাইল করে কোচিংয়ে আসতে বলেন। মেয়েটি বই খাতা নিয়ে কোচিং গিয়ে দেখে তখন সেখানে অন্য কোন ছাত্র/ছাত্রী নেই।
ছাত্রীটি শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করার পর এই সময় শিক্ষক নামের লম্পট উত্তম কুমার বিশ্বাস ওরফে আবুল কালাম আজাদ ছাত্রীটিকে নানা অশালীন প্রস্তাব দেয়। স্পর্শকাতার স্থানে হাত দেয়। পরে বাসায় এসে ঘটনা মাকে জানিয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে ওই ছাত্রী।
শনিবারই মেয়েটির বাবা লুৎফর রহমান সোনাডাঙ্গা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার এস আই মিলন ছাত্রীটির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এই ঘটনার পর থেকে ঐ শিক্ষকের নিরালা ২নং রোড়ের কোচিং সেন্টারটি বন্ধ হয়ে রয়েছে এবং সেই শিক্ষক স্কুলেও আসছে না।
সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান সোনাডাঙ্গা থানা থেকে তার কাছে প্রথম ফোনে জানতে চাওয়া হয় শিক্ষক কোথায় আছেন? থানা থেকে ঘটনা শুনে তিনি জানতে পারেন ঘটনার পর থেকে ছাত্রীটিও স্কুলে আসছে না। পরে তিনি ছাত্রীটির বাড়ি গিয়ে বুঝিয়ে তাকে স্কুলে নিয়ে আসেন। তিনি জানান সেই থেকে ঐ শিক্ষক স্কুলে আসছেন না এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ বলেন, ঘটনার পর থেকে সেই শিক্ষক পলাতক। স্কুলেও যান না কোচিং সেন্টার বন্ধ। তিনি বলেন, স্কুলটি সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মধ্যে তবে কোচিং সেন্টার বা ঘটনাস্থলটি নিরালা আবাসিক এলাকা যা সদর থানার মধ্য।
ফলে গতকাল বুধবার বিকেলে তদন্ত রিপোর্টসহ স্কুল ছাত্রীর বাবাকে খুলনা থানায় প্রেরণ করেন। বুধবার রাতেই খুলনা থানায় মামলা হয়েছে। তিনি মামলার দেরী হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানান, তিনি শিক্ষককে আটকের চেষ্টা করছিলেন, আটক করা গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করে তাকে কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হত।
খুলনা থানার ডিউটি অফিসার শফিক আহমেদ জানান, আবুল কালাম আজাদের নামে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur