আশিক বিন রহিম | আপডেট: ১১:০৮ অপরাহ্ণ, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত কাবাডি খেলার ফাইনালে দু’টি দলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছে উভয় দলের কর্মকর্তা সর্মর্থকরাও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খেলার প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ও জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে। অনাকাংখিত এই ঘটনার বিব্রত হয়েছেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও সাধারণ দর্শক।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত কাবডি খেলার ফাইনালে অংশ নেয় পুরাণবাজারের ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাব ও নতুন বাজারের সোনালী অতীত ক্লাব।
খেলার শুরুতেই জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল খেলোয়ারদের ভালো খেলা উপহার দেয়ার আশা ব্যক্ত করেন।
ফাইনাল খেলার শুরুটা ভালোভাবে শুরু হলেও খেলার মাঝামাঝি সময়ে সোনালী অতীত ক্লাবের খোলোয়াড়কে ভাই ভাই স্পোটিং ক্লাবের খোলোয়াড় জিয়া নিয়মবহির্ভুতভাবে ট্যাকেল করাকে কেন্দ্র করে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মাঝে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে।
এর পরপরই পাল্টে যায় খেলার চিত্র। এক দলের খেলোয়াড়কে অন্যদল নিয়ম বহির্ভুতভাবে ট্যাকেল করা শুরু করে। এক পর্যায়ে ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের সুমনের সাথে সোনালী অতীত খেলোয়াড়দের হাতাহাতির ঘটে। এসময় সোনালী অতীত ক্লাবের কর্মকর্তা সোহেল মাঠে প্রবেশ করে সুমনকে মারধর করতে থাকে। সোহেলের ওই আচরণে ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে রূপ ধারণ করে।
এক পর্যায়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু মাইকে ঘোষণা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে অতিথির আসন থেকে উঠে এসে জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল পরিস্থিতি শান্ত করেন।
খেলা শেষে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল তার বক্তব্যে অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি অযোগ্য খেলা দেখে সুযোগ্য জেলা প্রশাসক হতে চাই না। খেলোয়ারদের এই আচরণে আমি হতাশ। খেলোয়াড়দের নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। কিন্তু আগামীতে যদি এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে ভবিষ্যতে আর কাবাডি টুনামেন্ট হতে দেবো না।”
জেলা প্রশাসক বলেন, “যে কোনো খেলার মূলনীতি হলো, একাগ্রতা, সৌহাদ্যপূর্ণতা। কিন্তু যে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ নষ্ট করে সেই খেলা না হওয়াই ভালো। আপনারা একই শহরের মানুষ হয়েও উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি দুঃখজনক ঘটনা।”
সব শেষে তিনি নিজেদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির কথা বলেন।
জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল পাটোয়ারী এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “এই ঘটনায় আমি লজ্জিত। একটি দলের জেতার দ্বারপ্রান্তে থেকেও ক্ষুব্ধ আচরণ হতাশাজনক। কোনো খেলোয়ারদের কাছ থেকে খেলাবহির্ভূত আচরণ কাম্য নয়।”
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur
