চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ধনাগোদা নদী। এই নদীর আমিরাবাদ লঞ্চঘাট থেকে কালীপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে কচুরিপানা।
এর মধ্যে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই কচুরিপানার জটের কারণে নদী পারাপারে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দুই উপজেলার বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মতলব ধনাগোদার মতলব খেয়াঘাট, বাইশপুর, গাজীপুর মোড়, সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর, টরকী, মাছুয়াখাল, শাহপুর, নায়েরগাঁও, দুর্গাপুর, শ্রীরায়ের চর, কালীর বাজার, নন্দলালপুর খেয়াঘাট এলাকায় কচুরিপানা জমাট বেঁধে আছে। এতে খেয়া পারাপারের যাত্রীসাধারণের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
ধনাগোদা তালতলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী রাবেয়া হোসেন ও ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, বছরের এই সময়ে নদীতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা থাকায় নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে অনেক পথ ঘুরে শ্রীরায়েরচর সেতু দিয়ে নদী পার হতে হয়।
নদীতে কচুরিপানার বিষয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হওয়া একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, নদীর দুই পাড়ে অবৈধ ঝাঁক (মাছ ধরার ফাঁদ) থাকায় জোয়ার-ভাটার সময় কচুরিপানা সরতে পারে না। এতে কয়েক মাস কচুরিপানার জমাট বেঁধে নৌকাসহ এই নদীতে অন্যান্য নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়।
বাল্কহেড শ্রমিক রহিম জানান, প্রায় এক মাস ধরে বালুবাহী বাল্কহেড কচুরিপানায়য় আটকে আছে ধনাগোদা বিদ্যালয়ের কাছে।
ধনাগোদা তালতলী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফারুকুল ইসলাম বলেন, নদীর দুই পাড়ে অসংখ্য অবৈধ মাছ ধরার ঝাঁক রয়েছে। বছরের এই সময়ে নদীতে কচুরিপানা আটকে নৌকা পারাপারে জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাব। কচুরিপানা অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।’
স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৬ নভেম্বর ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur