Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
শিক্ষকের

ফরিদগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রাইভেট পড়ুয়া পরীক্ষার্থীদের মাঝে গোপনে প্রশ্ন বিতরণ করায় ফরিদগঞ্জের মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৬ নভেম্বর রোববার বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর টেষ্ট পরীক্ষা চলাকালে বিজ্ঞান বিভাগের রসায়ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র দুই দিন আগেই কৌশলে শিক্ষক ফারুক নিজের কাছে প্রাইভেট পড়ে এমন ১০ পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র হাতে দেয়। ইতিপূর্বেও শতাধিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে এ দশ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা খুব কম সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ায় অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়।

পরে পরীক্ষার্থীদের মাঝ থেকে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের প্রশ্নফাঁসের কান্ডের কথা জানাযানি হলে বিদ্যালয়ের মধ্যে নানা হৈইচৈই শুরু হয়।

শেষ পর্যন্ত বিষয়টি অভিভাবক মহলে জানাজানি হলে বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ সহ-প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী টুম্পা, রুবাইয়া রহমান মনিরা ও রাকিক হোসেন বলেন, ওমর ফারুক স্যারের কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে শুধুমাত্র তিনি তাদেরকে পরীক্ষার সময় আগাম প্রশ্ন দেয়। আমরা প্রাইভেট না পড়ে নিজেরা পড়াশুনা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করতে চাই, অথচ তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে পেল করার স্বপ্ন দেখায়।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরকার প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে ব্যস্তোসময় পার করে আসছে। এসব দেখারমত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিংবা ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ দেখেও যেন না দেখার ভানে রয়েছে। আমরা অভিভাবকরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বলে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। যে বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ের পরীক্ষা আবার নতুন করে গ্রহন করা হবে।

অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, আমি হাতে লিখে দিয়েছি, তবে প্রশ্নের সাথে যে মিলে গেছে তা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৯ নভেম্বর ২০২২