ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর আঘাতে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুটি এবং বিভিন্ন গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে অধিকাংশ এলাকায় তার ছিঁড়ে লান্ডভন্ড হয়ে গেছে। যার ফলে পুরো উপজেলায় গত ৪৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সঠিকভাবে পাওয়া যায়নি।
উপজেলার নায়েরগাঁও, নারায়ণপুর,উপাদী উত্তর, উপাদী দক্ষিণ এবং মতলব পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করে সিত্রাং এর আঘাতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ শতাধিক গাছ ভেঙে গেছে। তবে এতে কোথাও ঘর বাড়ীর ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।
উপজেলার আশ্বিনপুর এলাকায় বিদ্যুতের খুটি ভেভে মতলব-বাবুরহাট পেন্নাই সড়কের উপর পড়ে গেছে। ফলে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
এলাকাবাসীও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহায়তায় খুটিটি সড়কের পাশে নেয়া হলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রবল বর্যণ ও পানি বৃদ্ধির কারনে ৮ থেকে ১০ টি পুকুরে পানি প্রবেশ করে চাষকৃত মাছের পোনা চলে যায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা মাছ চাষীদের।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন,সিত্রাং এর আঘাতে মৎস্য চাষীদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য কেউ যানায়নি। তবে মোবারকদী এলাকার জামাল নামক এক চাষীর নৌকা হারিয়ে গেছে বলে অবিহিত আছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, দুর্যোগে এ উপজেলায় ফসলের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্লকে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত কোন কৃষকও তার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানাননি।
উপজেলা পলী বিদ্যুতের ডিজিএম বলেন,সিত্রাংয়ে বিদুতের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে,বড় বড় গাছ ও ডালা ভেঙে তার ছিড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এছাড়া আশপাশের এলাকায়ও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। ক্ষতির পরিমাণ বেশী হওয়ায় কাজ করতে অনেক সময় লেগেছে। যেখানে কাজ করা সম্ভব হয়েছে সেখানে সংযোগ চালু করা হচ্ছে।
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ২৫ অক্টোবর ২০২২