চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আলীয়ারা গ্রামের হাজী বাড়িতে মমতাজ বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা বিধবা নারীকে ভরণপোষণ না দিয়ে তাকে অবেহলা ও বঞ্চনা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিধবা ওই নারী মমতাজ বেগম তার আপন পুত্রবধু তাছলিমা বেগম ও ছেলে প্রবাসী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। বৃদ্ধ মমতাজ বেগম ন্যায় বিচার পেতে এলাকার সাধারন মানুষের দ্বারে দ্বারে হাটছেন।
জানা গেছে, উপজেলার আলীয়ারা গ্রামের জয়নাল আবদীন প্রায় ২০ বছর পূর্বে তার স্ত্রী মমতাজ বেগম, ছেলে মনির হোসেন ও তিন মেয়ে সেলিনা বেগম,তাছলিমা বেগম এবং আকলিমা বেগমকে রেখে মারা যান। বর্তমানে মেয়েদের বিভিন্ন স্থানে বিয়ে দেয়া হয় এবং ছেলে মনির হোসেন প্রবাসে চলে যায়।
বৃদ্ধা মমতাজ বেগমের অভিযোগ, ছেলে প্রবাসে থাকার সুবাদে তার পুত্রবধু তাছলিমা বেগম তাকে পাকা বিল্ডিং থেকে বের করে দিয়ে বিশাল জমিজমা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। বর্তমানে পুত্রবধু তাছলিমা বেগম শাশুড়িকে ভরণ পোষণ না দেয়ায় ও অসুস্থ্যজনিত প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র না দিচ্ছে না। এতে করে মমতাজ বেগম দিনদিন খেয়ে না খেয়ে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
তিনি আরো বলেন, পুত্র মনির হোসেনের যোগসাজশে কারনে অকারনে পুত্রবধু তাছলিমা বেগম আমাকে অকথ্য ভাষা কথাবার্তা সহ নানান ভাবে কষ্ট দিয়ে আসছেন। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
স্থানীয় অধিবাসী দেলোয়ার হোসেন প্রধান,তাজুল ইসলাম,জামাল পাটোয়ারীসহ একাধিক লোকজন জানান, বৃদ্ধা মমতাজ বেগমকে তার ছেলে ও পুত্রবধু বিভিন্ন সময়ে ভরন পোষন না দিয়ে কষ্ট দিচ্ছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি অত্যান্ত অমানবিক। আমরা এলাকাবাসী এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক করেও কোনো সমাধান করা যায়নি ।
এদিকে প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী তাছলিমা বেগম শাশুড়ি কর্তৃক তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শাশুড়িকে নিয়মিত ভরন পোষন দিচ্ছি। মাস খানেক পূর্বে স্থানীয় কিছু লোকজনের প্ররোচনায় আমাকে ভুল বুঝে তিনি আমার শ্বশুরের পুরাতন ঘরে বসবাস করছেন।
কচুয়া প্রতিনিধি, ১৩ অক্টোবর ২০২২