চাঁদপুর-লাকসম রেলপথের চাঁদপুর সদরের মৈশাদী স্টেশন এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম। ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় টিনের তৈরি, পাকা ও সেমিপাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বুলডোজার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, আগামী দুই মাস এই উচ্ছেদ অভিযান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে রেলপথের চাঁদপুর জেলার অংশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মৈশাদী অবৈধ দখলে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সদস্য সজিম উদ্দিন বলেন, তারা বুধবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান হবে মর্মে রেলওয়ে বিভাগের মাইকিং করার পর জানতে পারেন। যে কারণে তারা আজ সকাল পর্যন্ত তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে পারেননি। তাদেরকে আরো আগে নোটিশ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলওয়ের সম্পত্তিতে এমন বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান এই প্রথম হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম বলেন, উচ্ছেদ অভিযান আমাদের পূর্বের কর্মসূচি। আগামী দুই মাস এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেখানে অবৈধ স্থাপনা সেখনে চলবে উচ্ছেদ। আজকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আমরা চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রায় ৩শ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছি। এর মধ্যে টিনসেড ও সেমিপাকা স্থাপনা ছিল। এসব স্থাপনায় প্রায় ৫শ’ লোক অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছেন।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস, উর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী এসএসএই (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার, এসএসএই (কার্য) আতিকুর রহমান আখন্দ, রেলওয়ের বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ, কানুনগো লাকসাম মো. কাউছার হামিদ, সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলাম।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্যাহ বাহার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ মো. খোরশেদ আলমসহ চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
চাঁদপুর করেসপন্ডেট, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২