আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আপডেট: ০৭:৩২ অপরাহ্ণ, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
ঝাড়ুকে আমরা খারাপ অর্থেই ব্যবহার করি, কিন্তু সেই ঝাড়ুই যে আমাদের চারপাশ পরিষ্কার করে। কখনো কখনো বাঁচিয়ে দেয় মানুষের জীবনও। যেমন করে পূর্ব চিনের শানডং প্রদেশের এক মেয়ে শিশুকে বাঁচিয়ে দিল।
ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলি। ওয়াং বাও চেং নামের এক যুবক বহুতল ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ এক শিশুর ভয়ার্ত কান্না শুনতে পান। কান্না শুনে উপরে তাকিয়ে দেখলেন বহুলতল ভবনের উপরের একটি ফ্ল্যাটের জানালায় আটকে আছে শিশুটি।
ওয়াং বাও চেং এক দৌড়ে ওই ফ্লাটে যান। গিয়ে দেখেন বাসাটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। ফ্ল্যাটে ঢুকতে না পেরে নেমে এলেন সিঁড়িতে। সেই সিঁড়ির জানালা দিয়ে বাড়িয়ে দিলেন হাতের কাছে পড়ে থাকা লম্বা সেই ঝাড়ুটি। সেটা দিয়ে ঠেলে রাখলেন ওই শিশুটিকে। ঝাড়ুর সাপোর্টে ঝুলতে থাকল সে। অন্যদিকে ঝাড়ু হাতে ওয়াং নিজেও ঝুলছেন সিঁড়ির জানালার বাইরে। অবশ্য তাকে ভেতর থেকে এক ব্যক্তি ধরে রেখেছিলেন।
এভাবে প্রায় আধাঘণ্টা থাকার পর ওই শিশুর বাবা-মা ফিরে এলেন। তারা জানালা দিয়ে টেনে তুললেন মেয়েকে। আতঙ্কিত হলেও অক্ষতই ছিল শিশুটি।
পরে শিশুটির বাবা-মা জানান, মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে তারা বেরিয়েছিলেন। তখনই হয়তো দুষ্টুমি করে জানালা দিয়ে বাইরে বের হতে যায় সে। তাতেই ঘটে এ দুর্ঘটনা। তবে গ্রিলের বাইরে দেহ চলে গেলেও মাথা আটকে ছিল গ্রিলের ফাঁকে। ঝাড়ু দিয়ে পেছন থেকে সাপোর্ট দেয়ায় হয়তো তার গলায় ফাঁস লাগেনি।
আসলে রাখে আল্লাহ মারে কে? এদিকে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে শিশুটিকে বাঁচিয়ে ওয়াং এখন হিরো। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঘুরছে তার ছবিই। সবাই তাকে জানাচ্ছে স্যালুট।
চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫।