Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে অনুমোদনহীন চলছে নিউ পার্ক মেল, মেশানে হচ্ছে পাথর ও প্লাস্টিক সামগ্রী
অনুমোদনহীন

চাঁদপুরে অনুমোদনহীন চলছে নিউ পার্ক মেল, মেশানে হচ্ছে পাথর ও প্লাস্টিক সামগ্রী

চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার লোহার পুল এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই অনুমোদনহীন অবৈধভাবে চলছে নিউ পার্ক নামের একটি ভুইট্টার মেল কারখানা।

এ নিয়ে স্থানীয়দের কাছে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুইট্টার গুড়োর সাথে মিশানো হচ্ছে পাথর, প্লাস্টিক ও চালের খুদ সহ বিভিন্ন সামগ্রী। গত কয়েকমাস ধরে এভাবেই অবৈধ ভাবে মাছের খাদ্যের এই মেল কারখানাটি পরিচালনা করে আসছেন বিশ্বনাথ পোদ্দার নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি নিজেই জানেন না যে এধরনের একটি মেল কারখানা কিংবা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে বিভিন্ন দপ্তরের কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয়। আর সেইসব বিষয়ে না জানার কারনেই নিজের ইচ্ছে মতো ভুইট্টার সাথে প্লাসিট, পাথরসহ বিভিন্ন আর্বজনা মিশিয়ে মেশিনে গুড়ো করে তৈরি করছে মাছের খাদ্য। 

জানা যায়, চাঁদপুরের পুরান বাজার লোহার পুল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ পোদ্দার নামের এক যুবক “নিউ পার্ক” নামে মাছের খাদ্য তৈরির একটি মেল কারখানা চালু করেন। কিন্তু সেই কারখানার পরিচালনা করতে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন দপ্তরের  যেসকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের প্রয়োজন। তার কিছুই নেই তার কাছে।

নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, মিলের সত্তাধিকারী বিশ্বনাথ পোদ্দার প্রায় ৮/৯ মাস ধরে পুরান বাজার লোহার পুল এলকায় নিউ পার্ক নামে মেল কারখানাতে ভুইট্টা দিয়ে মাছের খাদ্য তৈরি করে আসছে। তবে সে অধিক লাভের জন্য ভুইট্টার সাথে ছোট ছোট পাথর, প্লাস্টিকের টুকরো সহ বিভিন্ন সামগ্রী মিশিয়ে তা মেশিনে গুড়ো করে। এতে করে মাছ চাষীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

চাঁদপুরের পুরান বাজার লোহার পুল এলাকায় নিউ পার্ক নামের ওই মেল কারখানাটিতে সরেজমিনে গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে। একটি পুরাতন, ঝরাজীর্ণটিনের ঘরে নোংরা পরিবেশে চলছে মেল কারখানাটি। মেঝেতে ভুইট্টা ফেলে তাতে মিশানো হচ্ছে পাথর ও প্লাস্টিক। তারপর সেগুলোকে মিশনে গুড়ো করে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতি মাছের খাদ্য। তবে মেল কারখানাটিতে অগ্নি নির্বাপনের কোন ব্যবস্থা নেই। 

এ বিষয়ে মেল কারখানাটির স্বত্বাধিকারী বিশ্বনাথ পোদ্দারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কয়েক মাস পূর্বে এই পুরাতন টিনের ঘরটি ভাড়া নিয়ে কারখানাটি চালু করেছি। তবে তবে এসব চালাতে গেলে যে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ফায়ার সার্ভিস সহ বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তা আমার জানা ছিলো না। আমি সেগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করব। 

এ বিষয়ে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ হান্নান জানান, বিষয়টি যেহেতু আমরা জানতে পেরেছি অবশ্বই অচিরেই আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। 

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১১ আগস্ট ২০২২