মেট্রো রেল নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “গ্রাম বাংলায় একটা কথা আছে- যার জন্য চুরি করি, সেই বলে চোর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে যেই জন্য মেট্রো রেল করলাম, তারাই এখন আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন কিসের জন্য?”
সোমবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আশেপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে মেট্রোরেল লাইন করা হচ্ছে। মেট্রো রেল দিয়ে ৩০ মিনিটে উত্তরা থেকে ক্যাম্পাসে আসা যাবে। পরীক্ষা দিতে গিয়ে যাতে যানজটে বসে থাকতে না হয় সেজন্য মেট্রোরেল লাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে রেল লাইন ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিরা বলেন, “আন্দোলনকারীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ফুলবাড়িয়া হয়ে এলিফ্যান্ট রোড় পর্যন্ত রেল লাইন ছিল। আর বর্তমান রেল ভবন সেই সময়ে রেল স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হত।”
তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেও রেল লাইন রয়েছে। রেল লাইন পৃথিবীর কোথায় নাই? হঠাৎ এটা নিয়ে এতো উত্তেজিত হওয়ার কী আছে? মেট্রো রেল লাইনের যেসব এলাকা সাউন্ড প্রুফ দরকার সেসব স্থানে আমরা সাউন্ডপ্রুফ করে দেব।”
“আসলে যখনই আমরা কোন উন্নয়ন কাজ করতে চাই, তখনই কিছু মানুষ আন্দোলন করে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার ঘোষণা দিলে এসব লোকেরাই – সুন্দরবন গেল, গেল চিৎকার তুলেছিল। এখন মেট্রোরেল নিয়ে তুলছে।।”-