চাঁদপুর টাইমস, কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট:
চলতি মৌসুমে কুমিল্লায় গোমতীর চরে আগাম মূলা চাষে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন কৃষক কৃষকরা। জেলার কয়েকটি উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়, এর মধ্যে মূলা অন্যতম। শীতকালের মূলা শরৎকালে আগাম চাষ করে বা¤পার ফলন হয়েছে।
সাধারণত শীতকালে মুলার চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু কুমিল্লা জেলার বুড়িচং, আদর্শ সদর এবং মুরাদনগরসহ কয়েকটি উপজেলায় বিশেষ করে গোমতীর চরে এবার শরৎকালে মূলার ব্যাপক চাষাবাদ করা হয়েছে।
সবথেকে বেশী মূলা আবাদ হয়েছে জেলার বুড়িচং উপজেলায়। এ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর চরে মৌসুমে আগে শরৎকালে চাষ করা হলেও মুলার বা¤পার ফলন হয়েছে। আগাম চাষ করায় বাজারে এ মুলার চাহিদাও প্রচুর। পাশাপাশি দামের দিক থেকেও লাভবান তারা। ক্ষেত থেকে মুলা উত্তোলন করে তা এখন রিতিমত বাজারজাত করছেন মূলা চাষীরা। পাইকাররা ক্ষেত থেকেই মুলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা মুলা উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আর চাষীরা প্রতিবিঘা মুলা পাইকারী বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এতে মূলা চাষ করে মৌসুমে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। বর্তমানে চাষকরা মূলাগুলো বিক্রি শেষ হলেই আবারও এই জমিতে দু’দফা চাষ করা হবে।
উন্নত বীজ, পরিমিত সার ব্যবহার ও অনুকল আবহাওয়া থাকায় পাশাপাশি কৃষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণেই মুলার বা¤পার ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
গোমতী পাড়ের চাষীরা উচ্চ ফলনশীল জাতের মূলার বীজ রোপন করেছেন। ফলে মুলার আকার এবং গঠন সকল দিক থেকেই উন্নত। তাই বাজারে দামও তুলনামূলক বেশি। বিশেষ করে সাদা জাতের মুলার ফলন ভালো হয়েছে।
এদিকে কোন কোন জমিতে মুলা পাতায় ক্ষতিকারক পোকা ও রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পরিমিত সার প্রয়োগের পরামর্শ দিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো: আছাদুলাহ। তিনি বলেন, চাষিদের আসলে চষের ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্টের সমস্যা থাকে, তারা ঘাষ মারার বিষ ব্যবহার করে থাকেন, বেশি সার ব্যবহার করে থাকেন। এতে ফসলের ক্ষতিই হয়ে থাকে।
উপ-পরিচালক মো: আছাদুলাহ বলেন, যেখানে এ মুলা চষের উপযোগিতা আছে আগামীতে যেন সেসব জায়গায় মুলা আবাদ করা হয়, সে জন্যে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হবে। যেন এটি চাষের মাধ্যমে চাষিরা আরো লাভবান হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এ জন্যে মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সুষ্ঠু নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
চাঁদপুর টাইমস- জেএআই/ডিএইচ/2015।