চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক আদম ব্যবসায়ীর মিথ্যা প্রতারণার মামলায় গ্রাহক হয়রানির স্বীকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রতারক আদম ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী গ্রাহক দুই পক্ষ হাজীগঞ্জ উপজেলার বাহিরের বাসিন্ধা।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্যকলাদী সেকান্তর আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে আসছেন হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর এলাকায়। এখানে এসে বিদেশে লোক নেওয়ার নামে আদম ব্যবসা শুরু করেন আনোয়ার দম্পতি।
তারই শুবাদে গত ২০১৫ পূর্বে কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ এলাকার বাসিন্ধা হাজীগঞ্জ মকিমাবাদ এলাকার মনির প্রফেসারের ভাড়াটিয়া আহসান হাবীবের ছেলে মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাকে বিদেশ পাঠানোর নামে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারণার স্বীকার হয়ে কাতার থেকে দেশে এসে আদম ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে তলব করে হাবিব উল্ল্যার পরিবার।
এক পর্যায়ে আদম ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের দেখা পেলে ২০১৮ সালে হাজীগঞ্জ থানায় একটি বৈঠক হয়। সেখানে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে কাটিজ পেপারে সই স্বাক্ষর দিয়ে আবার লাপাত্তা হয়ে যায় আদম ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বেলঘর গ্রামের জনৈক আরিফ হোসেনের মাধ্যমে আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা সম্মত হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ টাকা না দিয়ে বরং মিথ্যা মামলা আদালত ও থানায় দায়ের করেন।
আদম ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের দায়ের করা মিথ্যা মামলার আসামী হলেন, মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যা, ছোট ভাই আব্দুর রহমান ও বাবা আহসান হাবীব।
আদম ব্যবসায়ীর মামলা মিথ্যা দাবি করে মামলার দ্বিতীয় অভিযুক্ত আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের পরিবারের জমানো ৮ লক্ষ টাকা একাই নিয়েছেন প্রতারক আনোয়ার হোসেন। গত ৭ মে দায়ের করা অভিযোগের ঘটনা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। সেই দিন রাতে আমরা মতলব বাজার এলাকায় যাইনি। অথচ মিথ্যা অভিযোগে নানা কাহিনী সাজিয়ে মামলা করেছে। মূলত সে টাকা যেন না দেওয়া লাগে সে কারনে এ নাটক সাজিয়ে উল্টো আমাদেরকে হয়রানি করতেছে। আমরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে আদম ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রাহক মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যা ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাতার গিয়ে ১৯ মাস পর ফিরে এসে অযুক্তিক ভাবে টাকা দাবি করছেন। আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি ও আটক করায় আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি, ১৬ জুন ২০২২