চাঁদপুরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, আপনাদের জায়গাটা অনেক সম্মানের। সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধাপই হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজেটের প্রায় অনেকাংশে আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদ জড়িত থাকে। সরকার বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন। ভবিষ্যৎ উন্নয়ন চিন্তা না করে কাজ করলে নিজেদের সমস্যা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদগুলো এখন সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে বিধায় প্রায় ১৫ লাখ টাকারও বেশি প্রকল্প দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শহরের সব সুবিধা গ্রামে যাবে কিন্তু গ্রাম যেন শহর না হয়। তাই আপনারাও সব গ্রামকে শহর করার চেষ্টা করবেন না। তবে শহরের সব সুবিধা যেন গ্রামে থাকে। তাই আপনার চিন্তাভাবনা করে কাজ করবেন। আপনি নির্বাচনের সময় বলেছিলেন, জনগণের সেবা করবেন এবং প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। প্রকল্প নিলে মাথায় রাখতে হবে জনগণের চাহিদার কথা।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মানুষ কিন্তু জানে আপনি কি করছেন। হয়তো অনেকেই বলতে পারছে না। প্রকল্পের সময়ের মধ্যে অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘একটি মানুষো যেন গৃহহীন না থাকে’। অতএব তৃতীয় পর্যায়ের ঘরগুলো যেন কাজ শেষ হয়। কোনরকমের গাফিলতি আমি সহ্য করবো না।
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে আপনাদের সকরের সহযোগিতা চাচ্ছি।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে ও ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলেটর রিয়াজ উদ্দিন সরকারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশনার আবিদা সিফাত, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী প্রমূখ।
এসময় সভায় জেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১৪ জুন ২০২২