চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে আগুনে আহত অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার ৭ জুন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ সীতাকুণ্ডের ঘটনার পর গতরাত পর্যন্ত ঢাকায় ১৯ জন আসেন। তাদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
আরেকজন খালিদুর রহমানের কোভিড পজিটিভ হওয়াতে তাকেও ঢাকা মেডিক্যালের কোভিড ইউনিটে পাঠানো হয়। বাকিদের মধ্যে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে আছেন ৩ জন। যার মধ্যে কারোর অবস্থাই শঙ্কামুক্ত না। বাকিরা পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে আছেন।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের প্রায় সবার চোখেই সমস্যা রয়েছে জানিয়ে তাদেরকে চোখের ডাক্তারও দেখছেন এবং যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছেন বলেও জানান সামন্ত লাল।
এর আগে সীতাকুণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ খালেদুর রহমানের (৫৮) করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। তার শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ।
এ নিয়ে ঢাকার বার্ন ইউনিটে ১৯ জন রোগী ভর্তি হন। প্রথমদিনই একজনকে বার্ণ না থাকায় ঢামেকে পাঠানো হয়। সবশেষ আরও একজনকে মঙ্গলবার সকালে একজনের কোভিড পজিটিভ হওয়াতে ঢামেকে রেফার করা হয়। সবমিলিয়ে বার্ণ ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে ৩ জন এবং ১৩ জন বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঢট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৭ জন দগ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে ঢাকা চট্টগ্রামে ১০৬ জন রোগী ভর্তি বলেও জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
৭ জুন ২০২২
এজি