Home / শীর্ষ সংবাদ / বৈরি আবহাওয়ায় হাইমচরে ধান চাষিদের লোকসানের শঙ্কা
আবহাওয়ায়

বৈরি আবহাওয়ায় হাইমচরে ধান চাষিদের লোকসানের শঙ্কা

চাঁদপুরের হাইমচরে চলতি বছর বৈরি আবহাওয়ায় কারণে ধান চাষিরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ইতোমধ্যে ক্ষেতের অনেকটা জায়গা জুড়ে পাকা ধান পচতে শুরু করেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, শ্রমিকদের অধিক মজুরি দাবী এবং কৃষি বিভাগের পর্যাপ্ত পরামর্শ না পাওয়ায় এমনটা হচ্ছে। ১৪ মে শনিবার হাইমচরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

রোশন শেখ নামে এক চাষি বলেন, ‘আমার ৩০ শতাংশ জমির চাষ করা ধান ঘরে তুলতে শ্রমিক পাচ্ছি না। পেলেও তারা বেশি মজুরি চাওয়ায় ধান কাটাতে, তুলতে ও শুকাতে বেগ পেতে হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে ধানের ব্যাপারে কোনো পরামর্শই পাচ্ছি না।’

আব্বাস গাজী নামে আরেক চাষি বলেন, ‘বৈরি আবহাওয়ার কারণে বোরো আবাদ করে শঙ্কায় আছি। বৃষ্টিতে অনেক ধানে পচন ধরেছে। চালান তুলতে পারবো কি না সন্দেহ আছে।’

বোরো চাষি মিন্টু মোল্লা বলেন, ‘কাদামাটির মধ্যে ধান কাটলে শরীরে ঘা হয়ে যায়। কৃষি বিভাগ থেকেও কোনো পরামর্শ পাই না। কিভাবে সংসার চলবে সেই চিন্তায় আছি।’

ধান কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, গাধার খাটুনী খেটে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মজুরিতে হয় না। একসঙ্গে সবার ধান পেকে যাওয়ায় শ্রমিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে।

হাইমচর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাইমচরে এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে।

হাইমচর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপ-সহকারী দেলোয়ার হোসেন মিন্টু কৃষকদের অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘বৈরি আবহাওয়ার কারণে ধান পুরোপুরি পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নিষেধ করা হয়েছিল চাষিদের।’

কৃষকদের পরামর্শ না দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর এক থেকে দেড় হাজার চাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া মাঠ দিবসের মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়।’

চাঁদপুর করেসপন্ডেট, ১৪ মে ২০২২