কচুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামে বাজার সংলগ্ন পূর্ব ব্রীজের দক্ষিন পাশে মাটি দিয়ে পাড় নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্রীজের উত্তরাংশের কয়েক একর ফসলি কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ওই গ্রামের অধিবাসী মৃত. সালামত আলীর ছেলে মো. কামাল হোসেন জমি ক্রয় করে প্রভাব খাটিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ব্রীজটির উত্তর পাশের ফসলি জমি স্থানীয় ব্যক্তিদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। জমির পানি নিষ্কাশন ও যাতায়াতের জন্য প্রায় ২০ বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রীজটি মুখ আটকে মাটি দিয়ে পাড় নির্মান করায় পানিনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কৃষিজমিসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ব্রীজটির উত্তর পাশের মুখ আটকে মাটি দিয়ে পাড় নির্মাণ করা হয়। সেখানে পানি চলাচলে কোনো নালা রাখা হয়নি। পানি নিষ্কাশনের বেশির ভাগ অংশ বন্ধ থাকায় উত্তর পাশের জমিগুলোর পানিনিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে কৃষিজমিতে এখনো পানি আটকে আছে।
স্থানীয় কৃষক আলম,রশিদ ও সোলামান প্রধানসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, বছরের এ সময় ব্রীজের দুই পাশে আলুসহ বিভিন্ন ফসলাদি চাষ হতো। ব্রীজের মুখ বন্ধ থাকায় এখনো জমিতে পানি আটকে আছে। আশপাশের আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না। এসময় তারা পানি চলাচলের জন্য প্রয়োনীয় উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, কোনো কৃষকের অসুবিধা হলে আমি পানি চলাচলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিব।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সোফায়েল হোসেন বলেন, কৃষি জমি বন্ধ করে ব্রীজের নিচে পাড় করার নিয়ম নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৮ মে ২০২২