চাঁদপুরের হাইমচরে প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে উঠে নয়াহাটে জেটি স্থাপন করা হলেও যাত্রীরা এখানে পল্টুন দাবী করছেন। শুধু নয়াহাটেই নয় এর পাশাপাশি চরভৈরবী, হাইমচর ও তেলির মোড়েও লঞ্চ ভিড়ানোর পল্টুন দাবী যাত্রীদের। গেলো ৬০ বছর যাবৎ প্রশাসনিক জটিলতায় চরাঞ্চলের মানুষের জন্য এই স্থানগুলোতে ব্লকের ওপর ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী লঞ্চে উঠতে হয় বলে খবর রয়েছে।
২০ এপ্রিল বুধবার বিকালে কাটাখালি অর্থাৎ নয়াহাটে সরজমিনে গিয়ে জেটি স্থাপনের কাজ দৃশ্যমান দেখা যায়।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লেখিত স্থানগুলোর মধ্যে নয়াহাট বাদে বাকি সবগুলো স্থান ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। আর তাই নয়াহাট বাদে অন্য স্থানগুলো উন্নয়ন নিয়ে ভাবতে চাইছে না বিআইডব্লিউটিএ। সেজন্য প্রাথমিকভাবে নয়াহাটে জেটি স্থাপন করা হলেও যাত্রী চাহিদার কথা চিন্তা করে দ্রুতই সেখানে পল্টুন বসানো হবে।
স্থানীয়রা জানায়, কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যবসায়ীক কাজে এখানকার মানুষের ঢাকায় যেতে লঞ্চ ছাড়া বিকল্প বাহনে ভাড়া অতিরিক্ত। চরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই নদী পথে লঞ্চে জেলা সদর, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকায় যাতায়াত করেন। সকাল ৯টায় এবং রাত ৯টায় দু’টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে হাইমচর থেকে ছেড়ে যায়।কিন্তু লঞ্চঘাটে পন্টুন ও বসার স্থান না থাকায় নানা ভোগান্তির স্বীকার যাত্রীসাধারণ।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের বিআইবডব্লিউটিএ এর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম বলেন, নয়াহাট (কাটাখালি) জেটি স্থাপন করা হয়ছে এবং দ্রুত সেখানে পল্টুন স্থাপন করা হবে। অন্যান্য ঘাটগুলো যদি জেলা প্রশাসন বিআইডব্লিউটিএ কে ইজারা হস্তান্তর করে তাহলে অবশ্যই সেগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েও আমরা পরিকল্পনা করবো।
প্রতিবেদক: বিএম ইসমাইল, ২০ এপ্রিল ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur