চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত হয়েছে লতিরাজ কচু। অর্থকরী ফসল হিসেবে এই সবজি বেশ লাভজনক। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৭ টি ব্লকে লতিকচু এবং পানিকচুর চাষাবাদ হয়েছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের সার, চারা, আন্ত: পরিচর্যার জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে পরামর্শ দিচ্ছেন।
পালগিরী ব্লকের কলমিয়া গ্রামের কৃষক মো. ছফিউল্লাহ প্রথমবারের মতো লতিরাজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ২০ শতক জমিতে লতিরাজ কচু আবাদ করেছি, ইতিমধ্যে ১৫ হাজার টাকার লতি বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো তিনমাস প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত লতি বিক্রি করতে পারবো।
উজানী ব্লকে কৃষক আব্দুল মুমিন বিশ শতক জমিতে পানি কচু আবাদ করেছেন। তারমতে পানি কচু আবাদ ধান চাষ হতে অনেক লাভজনক, প্রকল্পের আওতায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি চাষ করে লাভবান। অপেক্ষাকৃত উচু জায়গায় মুখীকচু আবাদ করেছেন তুলপাই ব্লকের কৃষক আব্দুল খালেক।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: ফারুকুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বাজারে এই সময়ে সবজির ক্রাইসিস থাকে, তাই বাজার দর বেশ ভালো। ৩০-৪০ টাকা কেজিতে অনায়াসে বিক্রয় হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, কচু চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা, মৌসুম শেষে বিঘা প্রতি লাভ হয় প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা। কচু চাষ কেবল আর্থিকভাবে লাভজনক নয় এটি আয়রন সমৃদ্ধ সবজি যা শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি নিরাপত্তায় দারুণ ভূমিকা রাখে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সোফায়েল হোসেন বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কচুয়ায় মুখীকচু, লতিরাজ কচু, ওল কচু, পানিকচু সম্প্রসারণ করতে আমরা কৃষকদের উপকরণ, প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আগ্রহী কৃষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান তিনি ।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু, ১৯ এপ্রিল ২০২২