নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের গ্রিল চিকেন ও নান রুটি খেয়ে ১১ জন অসুস্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থদের ভূলতা জেনারেল হাসপাতাল ও কাঁচপুর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে সাতজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।
১৫ মার্চ মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকার সুমন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের স্বজনরা।
অসুস্থদের এক স্বজন হুমায়ুন কবির বলেন, মঙ্গলবার রাতে ছেলেমেয়ে ও ভাতিজা বায়না ধরলে কাঁচপুরের সুমন হোটেলে গ্রিল ও নান রুটি খাওয়াতে নিয়ে যাই। সেখানকার খাবার খাওয়ার পরেই বাসায় গিয়ে হঠাৎ আমার স্ত্রী মুক্তা, মেয়ে ফাতেমা ও মুন, ছেলে সান, ভাতিজা নয়নসহ ভাতিজি শাহারা ও পলি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের ভূলতা জেনারেল হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ভুলতা জেনারেল হাসপাতালের রিসিপশনিস্ট সোহানুর রহমান বলেন, সাতজন অসুস্থ হয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সবাই সুস্থ হয়ে আজ বাসায় চলে গেছে। আপাতত তাদের কেউ হাসপাতালে ভর্তি নেই।
এছাড়া একই হোটেলের গ্রিল চিকেন ও নান রুটি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন হালিমা, আশিক, জুবায়ের হোসেন ও আফরোজা আক্তার। তারা ওই হোটেল থেকে খেয়ে বাসায় গিয়েই পেট ব্যথা শুরু হয়। পরে তাদের কাঁচপুরের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কাঁচপুর অ্যাপোলো হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পেটব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত চারজন রোগী এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা বর্তমানে ভর্তি আছেন। নিম্নমানের পচা ও বাসী খাবার খাওয়ানোর কারণে এটা হতে পারে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সুমন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক সুমন মুঠোফোনে বলেন, আমার হোটেলের নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এ হোটেলের খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে থাকলে আমি তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবো।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজিব মিয়া বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। ওই হোটেলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে থাকলে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।