গত ২৬ ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার জন্য বিশেষ ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই সময় তারা জানায়,টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার এটাই শেষ সময়।এরপর আর প্রথম ডোজ দেয়া হবে না। এ সংবাদে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। অধিদফতর আরও দু’দিন বিশেষ এ কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, টিকার প্রথম ডোজ এখনও দেয়া যাবে।
বুধবার ২ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা.মো.শামসুল হক।
তিনি জানান, দেশে এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ। কেবল গত ১৩ দিনেই দু’কোটি ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারিতে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অনেক মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনা গেছে জানিয়ে ডা.শামসুল হক বলেন, ‘এরপরও কেউ যদি বাদ পড়ে থাকেন,তারা আমাদের স্থায়ী কেন্দ্রে এসে এখনও টিকা নিতে পারবেন। সেটা রেজিস্ট্রেশন করেও নিতে পারবেন,যদি রেজিস্ট্রেশন না থাকেন কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারবেন। এখনও যেসব মানুষ টিকার আওতায় আসেনি তারা আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,জেলা হাসপাতালে,সরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল বা বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার যেসব হাসপাতাল রয়েছে,যেখানে টিকা কার্যক্রম চালু রয়েছে, সেখানে এসে প্রথম ডোজ নিতে পারবেন। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ চলমান থাকবে।’
ডা.শামুসল হক বলেন,সাভার,কেরানীগঞ্জ,নারায়ণগঞ্জ,গাজীপুর এসব জায়গায় শিল্প কারখানা বেশি। অনেক মানুষ আমাদের টিকার আওতার বাইরে ছিলেন। তাদের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে টিকাদান কার্যক্রম আরেকটু বৃদ্ধি করতে পারবেন। এ সুযোগ তাদের দেয়া হয়েছে।
বার্তা কক্ষ ,
৪ মার্চ ২০২২
এজি