১৬ মার্চ ঢাকায় আসছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকায় কর্মরত দেশটির রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান জানান,পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের আমন্ত্রণে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ ১৬ মার্চ দু’দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক সংলাপের জন্য ঢাকা আসছেন।
এ ছাড়া রাষ্ট্রদূত বলেন,‘ ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস গত সপ্তাহে ৩৮ হাজার ওয়ার্কিং ভিসা ইস্যু করেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভিসা ইস্যু করেছে দেশটির দূতাবাস। ওই দিন ইস্যুকৃত ভিসার সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৩০০টি। গতকাল সৌদি দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সফরে দু’পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে এবং সম্পর্কের সব বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক সব কিছুতে দু’দেশের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে বলে তিনি জানান। সৌদি বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলমান হলেও কোনো বিনিয়োগ সেই অর্থে হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সৌদির বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আসতে চায়, কিন্তু কোভিডের জন্য এবং সরকারের কিছু নিয়মের জন্য দেরি হচ্ছে। বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, নিকট ভবিষ্যতে ২৩টি বড় কোম্পানি একসঙ্গে বাংলাদেশে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত মাসে সৌদি শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছে এবং সেখানে বিনিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান। আশা করি, আগামী কয়েক মাসের ভেতরে আমরা বড় ধরনের অগ্রগতি দেখতে পাব।’
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ‘করোনাকালে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী সৌদি আরব গেছেন। গত বছর দেশটিতে গেছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৯৪ জন কর্মী। এর আগের বছর ২০২০ সালে দেশটিতে যান ১ লাখ ৬১ হাজার ৭২৬ কর্মী। সব মিলিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৮ জন কর্মী গিয়েছেন। বর্তমানে দেশটিতে ২৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত রয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন,‘করোনার কারণে ভিসা ইস্যুর পরিমাণ কমে যায়। এখন আবার ভিসা ইস্যুর পরিমাণ বেড়েছে। আমরা এখন দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে গুরুত্ব দিচ্ছি। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সৌদি সরকার এখনো হজের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।’
৩ মার্চ ২০২২
এজি