চাঁদপুর টাইমস, শাহরাস্তি:
“মা, ভাইয়া, আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম কিন্তু নিষ্ঠুর পৃথিবীর মানুষেরা আমাকে বাঁচতে দিলো না। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী তারেক, তারেকের মা ও তার বোন কণিকা। আমার মৃত্যুর প্রতিশোধ তোমরা নিও।”
গত ২০ আগস্ট বেলা আড়াইটায় শাহরাস্তি আয়নাতলী ফরিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শারমিন আক্তার মিনু ওই বিদ্যালয়ের একই শ্রেণির ছাত্র তারেক হোসেন কর্তৃক বিদ্যালয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার ও তার (তারেকের) মা-বোনের হাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত হয়ে আত্মহত্যার আগে চিঠিতে এসব কথা লিখে যায়। উক্ত চিঠির বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জোবায়ের কবীর বাহাদুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, চিঠিটি আমিও পেয়েছি, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে এই চিঠিটি মিনুরই হাতের লেখা।
মিনুর সহপাঠীরা জানায়, ঘটনার দিন সকালে তারেকের মা রূপবান বেগম ও তার বোন কণিকা স্কুলে প্রবেশ করে মিনুকে অপমান অপদস্ত করে। এক পর্যায়ে তারেক তার মা-বোনের সামনে মিনুর গায়ে হাত দেয় এবং তাকে চড় মারে। এছাড়াও তারা আরো জানায়, তারেক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বহু ছাত্রীর ওড়না টানসহ গায়ে হাত দিয়েছে। এসব ঘটনা শিক্ষকদের অবহিত করলে ওনারা কখনই কর্ণপাত করেননি। মিনুর এমন করুণ মৃত্যুর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির লোকজনও কম দায়ী নয় বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে। এদিকে মিনু হত্যার বিচারের দাবিতে গত ২১ আগস্ট আয়নাতলী বাজারে এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা বিভিন্ন ব্যানার সহকারে মিনু হত্যার বিচার দাবি করে এবং তারেক, তারেকের মা ও বোনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। এ ব্যাপারে শাহরাস্তি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।