Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলব উত্তরে পা ভেঙে দেয়ার ঘটনায় হাসপাতালে আহত বৃদ্ধার মায়ের মৃত্যু  
ভেঙে

মতলব উত্তরে পা ভেঙে দেয়ার ঘটনায় হাসপাতালে আহত বৃদ্ধার মায়ের মৃত্যু  

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে হকিস্টিক দিয়ে মারধরের ঘটনায় আহত নারগিস বেগমের মাতা মাজেদা বেগম (৭৫) মৃত্যুবরণ করেছেন।

২০ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলায় মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত মাজেদা বেগম মতলব উত্তর উপজেলার ১২নং ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমান মোল্লার স্ত্রী। ওই বৃদ্ধ মৃত্যুবরণ করার পর খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

নিহত বৃদ্ধার স্বজনরা জানায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে উপজেলার ১২নং ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত রাজ্জাক সরকারের পুত্র মুস্তাকিন সরকারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকটি সালিশ দরবার এবং চাঁদপুর আদালতেও তাদের একটি মামলা চলমান রয়েছে। 

তারা জানান, প্রায় ৪/৫ বছর পূর্বে মুস্তাকিন সরকার তাদের বাড়ির জমিতে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করেন। নির্মানকৃত বিল্ডিংয়ের জমি আহতদের পরিবারের দাবি করায় মুস্তাকিন সরকার এলকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ সকলের সম্মতিক্রমে সার্ভেয়ার দিয়ে বাড়িতে জমির মাপ আনেন এবং মাপ হওয়ার পর নির্মাণকৃত সে বিল্ডিং আহতদের জমির অংশতেই পড়ে বলে জানান। 

ঘটনার দিন সকালে মোস্তাকিন সরকার  বিরোধকৃত  এবং নির্মানকৃত বিল্ডিংয়ের পাশের জমিতে  মাটি কেটে  এবং বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক দখল করতে গেলে অসহায় বৃদ্ধা নাসরিন বেগম তাতে বাঁধা প্রদান করলে মুস্তাকিন সরকার দেশীয় অস্ত্র এবং হকিস্টিক দিয়ে বৃদ্ধাকে একা পেয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন বলে তাদের অভিযোগ। এসময় আহত নারগিস বেগমের মাতা বৃদ্ধা মাজেদা বেগম তার মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মুস্তাকিন নিহত মাজেদা বেগমকেও তলপেটে লাথি মারে এবং লোহার দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বলে স্বজনদের অভিযোগ। পরে রোববার সকাল সাড়ে ৮ টায় হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরন করেন। মাজেদা বেগমের এমন মৃত্যুতে স্বজনরা অভিযুক্ত মুস্তাকিনকেই দায়ী করছেন। 

এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল জানান, আমি রোগীটিকে দেখতে যাওয়ার আগেই জানতে পেরেছি তার মৃত্যু হয়েছে। এমনকি আমি ওয়ার্ডের যাওয়ার আগেই জানতে পারি রোগীর ভর্তি ফাইল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তখন আমি বুঝতে পারি এটি পুলিশ কেইসের রোগী ছিলো। এর আগে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারিনি। আমি ওয়ার্ডে যাওয়ার আগেই যেহেতু মৃত্যুবরণ করেছেন সে ক্ষেত্রে  তার মৃত্যুবরণ কারণ সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। বাকিটা পোস্টমর্টেমের পর বলা যাবে।  

তিনি আরো জানান, তবে নিহত বৃদ্ধের এক নাতিন জানিয়েছে গত দুদিন আগে বুকে ব্যাথা নিয়ে তার নানীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া পূর্ব থেকেই নিহতের হার্টে সমস্যা ছিলো বলে তার নাতিন জানিয়েছে।

প্রতিবেদকঃ কবির হোসেন মিজি,২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২