দেশের ২৪ গুণী নাগরিককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদকপ্রাপ্ত ও তাঁদের প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি করোনার প্রকোপ কমলে আবারও সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এ বছর ভাষা আন্দোলনে দুজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে চারজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে দুজন, সমাজসেবায় দুজন, গবেষণায় চারজন (দলগতভাবে তিনজন) একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া সাংবাদিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষায় একজন করে একুশে পদক পেয়েছেন।
ভাষা আন্দোলন শ্রেণিতে মোস্তফা এম এ মতিন ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুলকে মরণোত্তর পদক দেওয়া হয়েছে। শিল্পকলায় পদক পেয়েছেন জিনাত বরকতউল্লাহ (নৃত্য), নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর, সংগীত), ইকবাল আহমেদ (সংগীত), মাহমুদুর রহমান বেণু (সংগীত), খালেদ মাহমুদ খান (খালেদ খান) (মরণোত্তর, অভিনয়), আফজাল হোসেন (অভিনয়) ও মাসুম আজিজ (অভিনয়)।
মুক্তিযোদ্ধা শ্রেণিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার একুশে পদক পেয়েছেন।
সাংবাদিকতায় এম এ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ একুশে পদক পেয়েছেন। সমাজসেবায় একুশে পদক পেয়েছেন এস এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের। কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ ভাষা ও সাহিত্যে এই পদক পেয়েছেন।
এ ছাড়া গবেষণায় ড. মো. আবদুস সাত্তার মন্ডল এবং উচ্চফলনশীল জাতের ধান আবিষ্কারের জন্য দলগতভাবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. মো. এনামুল হক (দলনেতা), ড. সহানাজ সুলতানা ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস একুশে পদক পেয়েছেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।