নাজমুল তালুকদার
চাঁদপুর জেলাধীন কচুয়া উপজেলা পথেবাপুর গ্রামের সাঁচার ডিগ্রী কলেজ একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী বড় বোনের জামাই গত পরশু সকাল ১০টার সময় কলেজে যাওয়ার পথে মারধর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নিজ বাড়ি গণধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে মেয়েটির অবস্থা আশংকাজন দেখে ধর্ষিত মেয়ের ছোট বোন খবর পেয়ে বড় বোনের শ্বশুর বাড়িতে যায়। তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় দেখে তার আত্মীয় স্বজন তাকে উদ্বার করে কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তার অবস্থা বেগতিক দেখে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে।
আহত সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার আটমোড় গ্রামের মোঃ মৃত আলী মুন্সির ছেলে নেহেল আহমেদের সাথে বিগত কয়েক বছর পূর্বে লোকমান হোসেন মুন্সির বড় মেয়ে মুন্নির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই খবর পাওয়া যায় নেহেলের সাথে ঝর্ণা নামে একটি মেয়ের সাথে তার দীর্ঘ দিনের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। মুন্নিকে প্রায়ই মারধর করে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সংসার ভাঙ্গার জন্য মুন্নিকে শারীরিক নির্যাতন করতো। নেহেল শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মুন্নি ও তার বাবাকে মারধর করতো।
তারা আরো জানায়, কচুয়া থানায় নেহেলের নামে মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। মাদক মামলা নং- ৮৮ ও অস্ত্র মামলা জিআর নং- ৮১। ২৭ দিন জেলে থাকার পর অস্থায়ীভাবে জামিন নিয়ে বের হয়। এর কিছু দিন যেতে না যেতেই গত ১৯ আগষ্ট বুধবার সকাল ১০টার সময় কলেজে যাওয়ার পথে তার শালিকে বেদম মারধর করে জোরপূর্বক টেনেহিছড়ে তার বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে তার বড় বোনের জামাই সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত করে পেলে চলে যায়। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ছাত্রীর বাবা জানায়। কলেজ ছাত্রীর বাবা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur