মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন তার সমাধানে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
মালদ্বীপে বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনায় তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি একটি সফল দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেছি। অনথিভুক্ত বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়টি সংলাপে প্রাধান্য পেয়েছে।’
এ বিষয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের এমওইউ স্বাক্ষরের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানকার বিভিন্ন দ্বীপের অভিবাসীরা যাতে নির্বিঘ্নে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে বলবো ব্যবস্থা নিতে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাটাও করে দেবে। যাতে ডলার কিনে আবার বাংলাদেশে পাঠানোর লোকসান বন্ধ হয়।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মালদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ইস্কান্ধার স্কুল অডিটোরিয়ামে সমবেত হন।
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপে তাঁর আবাসস্থল থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীরা মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর সরকার সমস্যার সমাধানে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা একটা কাজ করবেন। যারা বিদেশে আসতে চান তারা যেন দালাল ধরে না আসেন। বৈধভাবে আসার চেষ্টা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মালদ্বীপে যে ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে সেটা বিবেচনায় নিয়ে তাঁর সরকার মালদ্বীপে অভিবাসী প্রত্যাশীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করবে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হয়েছে। মালদ্বীপে কী ধরনের কাজের ব্যবস্থা রয়েছে, তার একটা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিলে আরও ভালো কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে। পাশাপাশি মালদ্বীপের যারা বাংলাদেশে চিকিৎসায় পড়াশোনা করছে তাদের বৃত্তি দেয়ারও উদ্যোগ নেবে সরকার।
মালদ্বীপে বসবাসরত বাংলাদেশিদের করোনা টিকা প্রদান করায় মালদ্বীপ সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
ইতোপূর্বে মালদ্বীপে ডিস্যালাইনিটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নৌবাহিনীর জাহাজে করে মালদ্বীপে সুপেয় পানি এবং পানির লবণাক্ততা মুক্ত করার মেশিন পাঠানোয় বাংলাদেশের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন জরুরি ওষুধও আমরা পাঠিয়েছি। সূত্র: বাসস