চাঁদপুরে বেসরকারি স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) এর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। চাঁদপুরের সকল বেসরকারি স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের শীর্ষ শিক্ষক সংগঠন গড়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে বাকশিস।
দেশের প্রায় ৩ হাজার কলেজ ও অর্ধ-কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। দেশের হাওড়-বাওড়, চরাঞ্চর ,নদীভাঙতি ,বন্যাকবলিত এলাকা,পাহাড়িদুর্গম,অনগ্রসর প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সন্ত্ানদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে এ বেসরকারি শিক্ষক সমাজ দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা রেখে চলছে।
বিশেষ করে ১৯৭৮ – ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাকশিসের প্রথম সভাপতি ছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ মো.তারিক উল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান।প্রেসিডেন্ট হূসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সভায়,পল্টনের সভায় ও রাজপথে,১৯৯৪ সালের চড়াই-উৎরাই শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্বে,এসএসসি পরীক্ষা বর্জন আন্দোলন ও ধর্মঘট,প্রেস ক্লাবের সামনে সরকারি প্রেস নোট পুড়িয়ে দেবার সময়, ১৯৯৭ সালের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এএইচএম সাদেক এর আহবানে জাতীয় শিক্ষক সমাজের দাবি আদায়ের গোল টেবিল সভায় যোগদান,অনশনে রাতে শহিদ মিনারেই রাত্রি যাপন,ঢাকার প্রতিটি প্রতিনিধি সভায় অত্যন্ত গঠনমূলক বক্তৃতা দিয়ে বা দিকনির্দেশনামূলক সভায়,কেন্দ্রিয় শহিদ মিনাে অনমন পালনে,ফরহাদ মানসিংহ ভবনে আন্দোলনের রূপরেখা দাঁড় করাতে ও শিক্ষকদের দাবি দাওয়া-আদায়ে অবদান রেখেছেন চাঁদপুরের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
চাঁদপুরে সংগঠনের জন্যে বেশ কজন নেতৃবৃন্দ সময়,অর্থ,দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন, উপদেশ দিয়ে এর গতি সঞ্চার করে রেখেছে। কখনো আবেগজড়িত, কখনো বা জ্বালাময়ী বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে দাবি আদায়ের রাজপথের আন্দোলনে নিয়ে আসার মত দক্ষতা ও সঠিক নেতৃত্ব দানে ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারী , সাবেক অধ্যক্ষ সাফায়াৎ আহমেদ ভূঁইয়া, সাবেক অধ্যক্ষ রুহুল আমিন,অধ্যক্ষ আবুল হাসানাত, সাবেক অধ্যক্ষ তরিক উল্লা,অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ,অধ্যাপক মোশারফ হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ ছালামত উল্লাহ,অধ্যক্ষ আযারুল কবির,অধ্যক্ষ মেজবাউদ্দিন, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান,অধ্যাপক জাকির হোসেন,সাবেক অধ্যাপক সফিউল আযম শাহাজাহান, অধ্যাপক হাসান আলী, অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ,অধ্যাপক আলাউদ্দিন,অধ্যাপক নুরে আলম।
চাঁদপুরের বেসরকারি স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের কঠিন আন্দোলন-সংগ্রামে বাকশিসসহ কেন্দ্রিয় ৩৭টি শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বদানকারী‘জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টে’র ব্যানারে শিক্ষকদের রুটি-রুজি ও আত্মমর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে সরাসরি নেতৃত্ব দেন পরবর্তী চাঁদপুরের কিংবদন্তী শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। তৎকালীন ইস্পাতকঠিন শিক্ষক আন্দোলনের মাঠে ছিলেন বর্তমান প্রিয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
তৎকালীন বেসরকারি শিক্ষকদের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের অন্যতম নেতা প্রধানশিক্ষক মরহুম সাখাওয়াত হোসেন ও অপরদিকে বাকশিস নেতা শিক্ষকদের দাবি আদায়ের দিকপাল সাবেক অধ্যক্ষ সাফায়াৎ আহমদ ভূঁইয়ার আহবানে চাঁদপুরের ‘শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে দাবি আদায়ের আন্দোলনের ভ্যানু’ নামে খ্যাত‘ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে’ চাঁদপুর জেলা বাকশিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারী।
পরে ১৯৯৪ সালে ড.আলমগীর পাটওয়ারী সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি একদিকে বাকশিসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ অপর দিকে তরুণাদীপ্ত নেতৃত্ব দিয়ে সকল কলেজ শিক্ষকদের একটি প্লাটফ্রমে রেখেছেন। যা আজও বিদ্যমান রয়েছে।
সে থেকেই তিনি বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি বাকশিসের সভাপতির দায়িত্বগ্রহণ করে জেলার কলেজ শিক্ষকদের এক ও অভিন্ন ধারায় আনতে সক্ষম হন। কলেজ শিক্ষকদের আগলে রেখেছেন ঐ তিন দিকপাল। আন্দোলনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) চাঁদপুর জেলার ৪৭টি কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের জন্যে মাঠে নেতৃত্ববৃন্দ ছিলেন।
বাকশিস এর পাশাপাশি শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট ও পরবর্তীতে শিক্ষক সংগ্রাম পরিষদ এর ব্যানারে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রধানশিক্ষক মরহুম সাফাওয়াত হোসেন,প্রধানশিক্ষক মরহুম আলী মোহাম্মদ,প্রধান শিক্ষক নুর হোসেন,মতলবের প্রধানশিক্ষক শহিদুল্লাহ প্রধান,শাহরাস্তির প্রধানশিক্ষক মরহুম ছিদ্দিকুর রহমান,মতলবের প্রধানশিক্ষক জয়নাল আবদীন, প্রধানশিক্ষক বোরহান উদ্দিন,প্রধানশিক্ষক আব্বাস উদ্দিন, প্রয়াত অরুণ মজুদার,প্রধানশিক্ষক সূর্যকুমার নাথ, ফরিদগঞ্জের মরহুম সিরাজুল ইসলাম,হাজীগঞ্জের প্রধানশিক্ষক সাহাজান আলী ও সহকারী শিক্ষক মুজিবুর রহমান,প্রধান শিক্ষক মো.খোরশেদ আলম,শিক্ষক নেতা মো.বিলাল হোসেন,কামরুজজামান হারুন,জয়নাল আবদীন, মরহুম মাও.সালাউদ্দিন,কানিজ বতুল চৌধুরী প্রমুখ।
আমি (প্রতিবেদক) আবদুল গনি ছিলাম জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের প্রচার সম্পাদক ও পদ-পদবিহীন বাকশিসের অঘোষিত মিডিয়া পার্সন।
১৯৯৭ সালে চাঁদপুরের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনটি দু’ভাগে বিভক্ত হলেও চাঁদপুর কলেজ শিক্ষক সমিতি আজও এক ও অভিন্ন ধারায় রয়েছে। শিক্ষক আন্দোলনে আলাদা ব্যানারে ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রয়াত অরুণ মজুদার, প্রধান শিক্ষক পংকজ বিহারী, প্রয়াত অরুণ মজুদার, জেলা আহবায়ক প্রধান শিক্ষক নঈম উদ্দিন খান, সদস্য-সচিব মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এ সংগঠনটিও দেশের শিক্ষকদের দাবি আদায়ের যুগপৎ অংশীদার ।
চাঁদপুরে স্বাধীনতাত্তোর স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্তি আদায়ে যাঁদের ভূমিকায় আজ শতভাগ বেতনভাতা,বাড়ি ভাড়া ভাতা, আংশিক হলেও উৎসব ভাতা,মেডিক্যাল ভাতা, কল্যাণ তহবিল ও অবসরসুবিধা বোর্ড গঠন,অষ্টম জাতীয় স্কেলভূক্ত হতে পেরেছে। এদের বেতনের টাকায় সংসারের ব্যয়-ভার বহনের মত সিংহভাগ শিক্ষক সংগঠনের সব কিছুই বাকশিস নেতৃবৃন্দ ব্যয় করেছেন।
বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ও জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের ব্যানারে জেলা ও কেন্দ্রিয় পর্যায়ের আন্দোলনে বিভিন্ন কর্মসূচির রূপরেখা প্রনয়ণে কেন্দ্রিয় কমিটির ডাকে ঢাকায় প্রতিনিধিত্ব করে বা সভায় যোগদান করে দাবি আদায়ের গতিকে তরান্বিত করতে জ¦লাময়ী বক্তৃতা প্রদান করেন। বাড়িভাড়া বৃদ্ধি ও উৎসব ভাতার দাবিতে ২০০৪ সালে কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে অনশন ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন। ঔ অনশন ধর্মঘটে ঢাবির ভাইস চ্যাঞ্জেলর সংহতি প্রকাশ করেন।
এসব আন্দোলনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁদের নেতৃত্বের প্রতি চাঁদপুর জেলার সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের ছিল অবিচল আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ। প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকুরি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয়করণ করার সময় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকেও পর্যায়ক্রমে সরকারি করার কথা বলেছেন। তবে এর পরবর্তী সরকারগুলো নানাবিধকারণে কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলের লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন-কিন্ত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়নি।
ফলে বিগত সরকারগুলোর আমলে শিক্ষকরা ধর্মঘট, হরতাল, কর্মবিরতি, সমাবেশ, মহাসমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচি স্মারকলিপি পেশ,আলোচনা, পর্যালোচনা, মিটিং,মিছিল, কালো ব্যাচ ধারণ, কালো পতাকা উড্ডয়ন,এমপি-মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ ও ১শ’ টাকায় ঘর বানিয়ে রাত্রি যাপন ইত্যাদি কর্মসূচিগুলো দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করতে বাকশিসসহ চাঁদপুর জেলার স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরিদেরকে সাথে করে এক প্লাটফরম থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে বাকশিস।
ঢাকার প্রতিনিধি সভায় অত্যন্ত গঠনমূলক বক্তৃতা দিয়ে বা দিকনির্দেশনায় আন্দোলন বেগবান করেন আমাদের চাঁদপুরের নেতৃবৃন্দ। শিক্ষকদের অধিকার ও মর্যাদা সম্পর্কিত সাফল্যকে সমুন্নত রাখাসহ আরো সম্প্রসারিত করার প্রয়োজন অপরিহার্য। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি দু’টি শব্দ শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবধানে বেসরকারি স্কুল ও কলেজ শিক্ষকরা বৈষম্যেও শিকার।
একই যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি,একই বিভাগে একই সিলেবাসে ও পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যক্রমে পাঠদান,একইনিয়ম কানুনে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং একই সমাজে বসবাস করেও বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সরকারি- বেসরকারি বৈষ্যম্যের কারণেই নানাভাবে পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষকগণ। এ বিষয়গুলোর ওপর বাকশিস নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষকদেরকে আরো দায়িত্ববান হতে পরামর্শ দিতেন এবং দাবি আদায়ে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করতেন।
শিক্ষকদের প্রাপ্তিতে এখন রয়েছে-পৌনে ৫ লাখ এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূর করা। শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ না হলে বৈষম্য থেকেই যাবে।বেসরকারি শিক্ষকদের ২৫ ভাগ থেকে শতভাগ, শতভাগবেতন ভাতা,১৯৮৭ সালে বিজয় সারণীতে ঘোষিত ১ শ’ টাকা বাড়ি ভাড়া থেকে ৫শ’ টাকা, ১শ’ টাকা মেডিকেল ভাতা থেকে ৪শ’টাকা, উৎসব ভাতা,জাতীয় পে-স্কেলের অন্তর্ভূক্তকরণ ও সর্বপরি বর্তমান ১ দফা‘শিক্ষা জাতীয়করণ’ দাবির আন্দোলনে ঢাকার প্রেসক্লাবের সামনে, কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে,ফরহাদ মানসিংহ ভবনে আন্দোলনের রূপরেখা দাঁড়করাতে ও শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে অবদান রেখে আসছে।
এ সব আন্দোলনের ফসল আজকের শতভাগ বেতন ভাতা,স্বয়ংক্রিয় জাতীয় বেতন স্কেলের অর্šÍভূক্ত,আংশিক হলেও উৎসবভাতা,বৈশাখি ভাতা,বাড়িভাড়া বৃদ্ধি,অনুদান শব্দের পারবর্তে বেতনভাতা,স্ব-স্ব হিসেবে বেতন,বেসরকারি অডিটের নামে হয়রানি বন্ধ ইত্যাদি ।
শতভাগ বেতন ভাতা, স্বয়ংক্রিয় জাতীয় স্কেলভূক্তি, কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও অবসর সুবিধা প্রাপ্তি, ইনডেস্ক নাম্বার , অনলাইনে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা প্রাপ্তি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যে মাইলফলক। যা আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে।
এক সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরিজনিত অবসরের বিদায় হতো -একখানা ছাতা ,একটি পাঞ্জাবী ,একটি নামাজের মোছলা ও একটি তসবি দিয়ে। কোনো কোনো স্কুল বিদায় অনুষ্ঠানই করছে না-প্রতিষ্ঠান প্রধানের হীনমনতার কারণে। আর বর্তমানে বিদায় শেষে একজন কর্মচারী কমহলেও ৮-৯ লাখ টাকা,শিক্ষক পাচ্ছেন ১০-১৫ লাখ টাকা,আর প্রতিষ্ঠান প্রধান পাচেছন ২০-৩০ লাখ টাকা । এটাও আন্দোলনের ফসল ।
২০১৫ সালের জাতীয় স্কেল ভূক্তির আন্দোলনে চাঁদপুরের কলেজ শিক্ষক সংগঠনটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে । দেশের সকল শিক্ষক সংগঠনগুলো এক সংগ্রাম কমিটি গঠন করে শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্যদূর করতে সর্বশেষ ২০১৭ সালে শিক্ষক আন্দোলনকে বেগবান করতেও ঢাকার প্রেসক্লাবে চাঁদপুরের শিক্ষকদের নেতৃত্বে ছিল চাঁদপুর বাকশিস।
চাঁদপুরের অনেক বাকশিস শিক্ষক নেতৃবৃন্দ চাকরির সময়সীমা ও বয়সের অংকের হিসেব কষে বুঝতে পেরেছেন-সরকারিকরণসহ অনেক দাবি আদায়ের স্বাদ তাঁরা পাবেন না -তবুও তাঁরা আন্দোলন থেকে পিছ পা হন নি। এটা জানতেনও বুঝতেন এর সুফলভোগী তাঁরা হবেন না। শুধূ তাঁরাই পেলো না-আগামিতে পাবেন অনেকেই। হয়তোবা এদের অবদান কেউ কেউ নিজকে হামবড়া ভেবে বিকৃতভাবেও উপস্থাপন করতে পারবে কিন্তু ইতিহাসের পাতায় স্থান মিলবে না।
সুতরাং বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্তি আদায়ে তাঁরা যে ত্যাগ শিকার করেছেন তা’ চাঁদপুরের শিক্ষক সমাজের কাছে চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে। ইতিহাসের পাতায় শিরোনাম হয়ে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে -তাঁদের অবদান।
বাকশিস দেশের খ্যাতনামা কলেজ শিক্ষকদের দাবি আদায়ে আন্দোলনকারী সংগঠক। শিক্ষক ও কর্মচারীদের সংগঠন। চাঁদপুর জেলার বেসরকারি স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের পরমবন্ধু ও প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি।
লেখক:আবদুল গনি,শিক্ষক,প্রাবন্ধিক,সাংবাদিক.প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি, মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি, চাঁদপুর । ৯ ডিসেম্বর ২০২১।