তিন লাখ টাকার বিনিময়ে অন্যকে দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চান্স পেলেও ভর্তি নিশ্চিত করতে পারেনি আফ্রিদি নামের এক ভর্তিচ্ছু।
২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় (এফ ইউনিট) ৫২তম মেধাস্থান নিয়ে ভাইভা দিতে আসে রায়ান আমিন আফ্রিদি।
ভাইভা দেওয়ার সময় উত্তরপত্রের হাতের লেখার সঙ্গে মিল না পাওয়ায় কর্তব্যরত শিক্ষকরা তাকে আটক করে প্রক্টর অফিসে পাঠান।
আফ্রিদি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আফ্রিদি তার জালিয়াতি করে চান্স পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সে জানায়, তিন লাখ টাকার বিনিময়ে সনেট নামের একজনের সঙ্গে তার চুক্তি হয়। পরে তার প্রবেশপত্র নিয়ে অন্য একজন পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আইন অনুষদের ভাইভা দিতে আসলে তার উত্তরপত্রের হাতের লেখার সঙ্গে এখনকার লেখা মিল না পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, সনেট নামের একজনের সঙ্গে তার তিন লাখ টাকা চুক্তি হয়েছিল। তার হয়ে অন্য আরেকজন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর বেশি সে আর কোনো তথ্য দেয়নি।
প্রক্টর আরও বলেন, তাকে মামলা দিয়ে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশকে এ জালিয়াত চক্রটি শনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছি।
এর আগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদে সাক্ষাৎকার দিতে আসা মোস্তফা কামাল নামে আরেক ভর্তিচ্ছুকে আটক করে আশুলিয়া থানার সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur