মিজানুর রহমান রানা | আপডেট: ১১:০০ এএম, ১৫ আগস্ট ২০১৫, রোববার
মরিচে ঝাল কম থাকুক বা না থাকুক দামে ঠিকই ঝাল টের পাওয়া যাচ্ছে। পেঁয়াজের ঝাঁঝও যেন কমছে না দামে। মরিচের দাম কেজি প্রতি ১২০ টাকা আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। কিছু সবজির দাম কমলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেড়েছে সবজির দাম।
চাঁদপুর পালবাজার, বিপণীবাগ এলাকার সবজি বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
চিচিঙ্গার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এখন দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। একইভাবে ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ও ঢেড়স কেজি ৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে শশা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা দামে, তবে কমেছে লেবুর হাম। হালি প্রতি (ছোট) লেবু ১০ টাকা। বড় সাইজের লেবুর দাম ২০ টাকা ও পটল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, বেগুনের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬৫ টাকা দরে।
দেশি লাল আলু ২৬ টাকা হলেও পেঁপে আর পেপে নেই। পেঁপের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা হয়েছে কেজি। কচুর লতি ৪০ টাকা, কচু সবজি ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচাকলা হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পিস প্রতি জালি কুমড়া দাম ৪৫ টাকার নিচে মিলছে না। তবে মিষ্টি কুমড়ার দাম আগের মতোই প্রতি পিস ২৫-৩০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সবুজ শাক আটি ১০ টাকা।
কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম (বিদেশি) ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা পর্যন্ত। দেশি রসুন ১৩০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১০০ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে।
দাম বেড়েছে ডিমের। ব্রয়লার মুরগীর ডিম প্রতি হালি ৩৮ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৪৫ টাকা ও হাঁসের ডিমের হালি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরু মাংস ৪০০ টাকা, মুরগি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজি, আর পাকিস্তানি মুরগি ৩৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজী বিক্রেতা আফসার উদ্দিন জানান, যোগানের উপর দাম নির্ভর করছে। যোগান কম। তাই খুচরা বাজারেই আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
স্কুল শিক্ষক পিকুল আহমেদ বলছেন, সব সময় দেখি কোনো না কোনো অজুহাতে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়েই দিচ্ছে। খুব কম সময়ই দেখা গেছে সবজির দাম কমেছে। কিন্তু মধ্যবিত্তের মানুষ হয়ে কিছু করার নেই। বাধ্য হয়েই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সবজি।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur