বয়সের ভারে নতজানু। শরীরের শক্তিও শেষ প্রায়। নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারলেও, হাঁটতে হয় নাতি-নাতনির সহায়তায়। খাবার সামনে আসলে খেতে পারেন একাই। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া বাড়ি থেকে বের হন না প্রায় ১০ বছর হল।
তারপরও ভোট দিতে হবে ৯০ বছর বয়সী মতিয়ারা বেগমের। দাদীর এমন বায়নায় কিছু বিরক্ত হলেও বৃদ্ধ দাদীকে খুশি রাখতে কোলে করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসছেন ৩৮ বছর বয়সী নাতী রাজন মিয়া।
রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুর দুইটায় চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের লুধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন ওই কেন্দ্রের বয়জেষ্ঠ ভোটার। ভোট দিয়ে বের হয়ে তৃপ্তির হাসি হাসেন এই বৃদ্ধ। এতো কষ্ট করে কেন ভোট দিতে এসেছেন এমন প্রশ্নে ফিসফিস করে বলেন, ভোট দিতে আমার ভাল লাগে। কখন মারা যাব তা তে বলা যায় না। তাই ভোট সামনে আসছে ভোট দিয়ে গেলাম।
স্থানীয় ৬০ বছর বয়সী মহব্বত আলী বলেন, আমরা বোঝার পর থেকেই দেখি মতিয়ারা বেগম বৃদ্ধ। এলাকার সব থেকে বয়সী মানুষ হিসেবে ফাতেমাকে সবাই ভালবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। আমরা তার সুস্থতা কামনা করি।
মতিয়ারার নাতি রাজন বলেন, আমার চাচা ও ফুপুরা সবাই বৃদ্ধ হয়ে গেছে। দাদী অনেক দিন ধরে ঘরবন্দি। চোখে দেখলেও কানে কিছুটা কম শোনেন তিনি। তারপরও ভোটের কথা শুনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।
স্টাফ করেসপন্ডেট
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur